আহত সন্দীপ রায়।—নিজস্ব চিত্র।
পুরভোটের ফল প্রকাশ হতেই মঙ্গলবার শাসকদল এবং বিরোধীদের অশান্তি সামনে এসেছে হুগলিতে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে।
এ দিন বিকেলে উত্তরপাড়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম এবং তৃণমূলের লোকজনের মধ্যে গোলমাল হয়। ওই ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী প্রণব বাগ খুব সামান্য ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, জেতার পরেই সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা মারমুখী হয়ে ওঠেন। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপ রায়ের হাতে ধারাল অস্ত্রের আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। সন্দীপের হাত কেটে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ক্ষতস্থানে বেশ কয়েকটি সেলাই পড়ে। সন্দীপের অভিযোগ, “জিততে না জিততে ওরা স্বমূর্তি ধারণ করেছে।” যদিও সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূলের ছেলেরাই হামলা চালায়। এক সিপিএম সমর্থকের দোকান ভাঙচুর করা হয়।
তৃণমূল নেতা দিলীপ যাদব বলেন, “উত্তরপাড়ায় দু’-একটি জায়গায় সামান্য ব্যবধানে জিতেই ওরা অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে। আমরা কিন্তু যে কোনও মূল্যেই এলাকায় শান্তি বজায় রাখব।” যদিও, সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরীর দাবি, “আমাদের কর্মী-সমর্থকরাই বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত। উত্তরপাড়া, কোন্নগর, বাঁশবেড়িয়ায় হামলা চালানো হয়েছে। ওরা অযথাই মিথ্যা বলছেন।” সিপিএমের অভিযোগ, কোন্নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দলের জয়ী প্রার্থী দিবাকর রায়ের উপরেও হামলা চালায় তৃণমূলের লোকেরা। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। সন্ধ্যায় শ্রীরামপুরে প্রভাসনগর এলাকায় বিজেপি এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়। দু’পক্ষের দু’জনকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দু’দলের নেতারাই গোলমালের দায় পরস্পরের উপর চাপিয়েছে। পুলিশ জানায়, তদন্ত হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy