Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Arambag

আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড নোংরাই

হুগলি জেলায় আরামবাগ এবং চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ড সবসময়ই ব্যস্ত।

আস্তাকুঁড়: আরামবাগ বাসস্ট্যন্ড চত্বর নোংরা জল, চিকিৎসা বর্জ্য-সহ নানা আবর্জনায় ভর্তি। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

আস্তাকুঁড়: আরামবাগ বাসস্ট্যন্ড চত্বর নোংরা জল, চিকিৎসা বর্জ্য-সহ নানা আবর্জনায় ভর্তি। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

পীযূষ নন্দী ও তাপস ঘোষ
আরামবাগ ও চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২০ ০৩:৫০
Share: Save:

এক স্ট্যান্ডের বাস তবু একবার ফিনাইলে ধোয়া হচ্ছে। অন্য স্ট্যান্ডটিতে এখনও শুধুই জল!

টিভি খুললেই দেখা যাচ্ছে বাসে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। কিন্তু সে ছবি আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে কোথায়?

হুগলি জেলায় আরামবাগ এবং চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ড সবসময়ই ব্যস্ত। চুঁচুড়ারটিতে কিছুটা সচেতনতা এসেছে। বাসপিছু একটি করে স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়েছে। ফিনাইল মেশানো জলে বাস ধোয়া হচ্ছে প্রতিদিন। কিন্তু আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড এখনও নরক। সকালে বাসগুলি শুধু জলে ধোয়া হচ্ছে। তারপরে ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে দে ছুট!

করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে জমায়েত বা ভিড় এড়ানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সরকারি স্তরে। কিন্তু বাসে যাত্রীদের ভিড় লেগেই থাকে। সে জন্য নানা জায়গায় বাসে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। হুগলির দু’টি বাসস্ট্যান্ডের মধ্যে আরামবাগেই যাত্রীদের চাপ বেশি। কিন্তু ওই বাসস্ট্যন্ড চত্বর এখনও নোংরা জল, চিকিৎসা বর্জ্য-সহ নানা আবর্জনায় থিকথিক করছে। সাফাই নিয়ে পুরসভার বিরুদ্ধে উদাসীনতারও অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা।

দক্ষিণবঙ্গের অনেকগুলি জেলার বাস দাঁড়ায় আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে। কয়েকশো রুটের বাস ছাড়ে। প্রতিদিন বেশ কয়েক হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, তা তাঁদের জানা নেই বলে দাবি করেছেন ওই বাসস্ট্যান্ডের দূরপাল্লার বাস মালিক সংগঠনের (হুগলি ইন্টার রিজিয়ন) সম্পাদক গৌতম ধোলে। তিনি বলেন, “পুরসভা কী করবে না করবে আমাদের জানা নেই। কিন্তু করোনা নিয়ে আমাদের নিজেদের কী সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার, সে দিশাও কাছে নেই।’’

মঙ্গলবার অবশ্য এ নিয়ে বৈঠক করেন মহকুমা প্রশাসনের কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, বাসগুলিতে যাতে বেশি যাত্রী তোলা না হয়, তা জানিয়ে বাস-মালিক সংগঠনগুলিকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। বাসগুলিকে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, “শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা চেষ্টা করছি। বাসস্ট্যান্ড চত্বর সাফাই করতে লোক লাগানো হয়েছে। বাসগুলিকে জীবাণুমুক্ত করা নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।”

চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন আটটি রুটের প্রায় ৭৫টি বাস ছাড়ে। বাসকর্মীরা জানিয়েছেন, আগে জল দিয়ে ধুয়েই বাস ছাড়া হত। করোনা-সতর্কতা জারি হওয়ার পর থেকে জলের সঙ্গে বেশি পরিমাণ ফিনাইল মিশিয়ে ধোয়া হচ্ছে। বাস-মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বাসপিছু একটি করে স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়েছে। যাতে বাসকর্মীরা তাতে হাত ধুয়ে রাস্তাঘাটে খাওয়া-দাওয়া করতে পারেন।

‘চুঁচুড়া বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-র সম্পাদক দেবব্রত ভৌমিক জানান, বাসযাত্রীদের মধ্যে বহু রোগী থাকেন। কে কোন রোগে আক্রান্ত, জানা সম্ভব নয়। তাই সতর্ক-বার্তা মেনেই বাস চালানো হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Arambag Environment Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE