প্রতীকী ছবি।
সপ্তাহ দুয়েক বন্ধ থাকার পরে শনিবার থেকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে শুরু হয়ে গেল প্রসূতি এবং জরুরি বিভাগের পরিষেবা। এ দিনই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিলেন হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার।
গত মাসের প্রথমে সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ হওয়ার পর থেকে সেই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন সংহিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপারের করোনা পজ়িটিভ হওয়ার পরপরই একাধিক কর্মী ও নার্সের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তাই হাওড়া জেলা হাসপাতাল পুরো বন্ধ করা হয়। এ দিন হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস জানান, গত সোমবার ফিভার ক্লিনিক এবং ময়না-তদন্তের বিভাগ কাজ শুরু করেছে। এ দিন থেকে প্রসূতি ও জরুরি বিভাগ শুরু হল। মেডিসিন এবং সার্জারি আগামী সপ্তাহের মধ্যে খুলবে।
গোটা হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করতে কয়েক দিন সময় লাগে। এর মধ্যে নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেককে ১৪ দিনের কোয়রান্টিনে পাঠানোয় কর্মীর অভাব দেখা দেয়। ফলে জেলা হাসপাতাল বন্ধ হয়। এতে নন-কোভিড রোগীরা সমস্যায় পড়েন।
আরও পড়ুন: এনআরএস হাসপাতালে একসঙ্গে ৮ রোগী করোনায় সংক্রমিত
আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা, দেশে মৃত্যু বেড়ে ১২২৩
জেলা প্রশাসন এ দিন জানিয়েছে, হাওড়ার কন্টেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা ৫৬ থেকে বেড়ে ৭৪ হয়েছে। নতুন করে অনেক এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মেলায় এই বৃদ্ধি। দিন পাঁচেক আগে রাজ্য সরকার বিভিন্ন জেলার কন্টেনমেন্ট জ়োনগুলির যে তালিকা প্রকাশ করে তাতে হাওড়ার ৫৬টি এলাকা ছিল। এর মধ্যে ৪৪টি এলাকা হাওড়া পুরসভার আওতায় পড়ে। সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের যুক্তি, পুলিশের ‘অপারেশন কোডিভ জিরো’র পাশাপাশি হাওড়া পুরসভার ‘মাইক্রো প্ল্যানিং’-এর মাধ্যমে যে কর্মসূচি শুরু হয়েছে তাতে আগের চেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানোয় বেশি সংক্রমিত চিহ্নিত হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy