প্রতীকী ছবি।
২০১২ সাল থেকে তাদের গ্রামে কোনও অস্তিত্বই ছিলনা। শুক্রবার সকালে ফের সেই লাল ঝান্ডায় ভরে গেল গোঘাটের মথুরা গ্রাম। কোনও বাধা ছাড়াই দলীয় কার্যালয়টি পুনর্দখল করে পতাকা তোলা হল। প্রায় শ’দেড়েক মানুষের মিছিল করলেন মথুরা মোড় থেকে দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত।
মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া গোঘাটের সিপিএম নেতা তথা দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ভাস্কর রায়ের দাবি, ‘‘গ্রামের ৭০ শতাংশ মানুষই ফের সিপিএমেই আস্থা রাখলেন”। গোঘাটের দলছুট সিপিএম কর্মী সমর্থকরা যাঁকে দেখে ফের লাল ঝান্ডা ধরতে সাহস পাচ্ছেন তিনি এক সময়ের দাপুটে নেতা অভয় ঘোষ। বাম আমলের পট পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে তিনি এতদিন গোঘাটে ঢুকতে পারেননি। অভয়বাবু এ দিন মথুরায় গিয়ে বলেন, “লাল পতাকাই ভরসার জায়গা, সেটা মানুষ বুঝেছেন।”
এ দিনের বাম-মিছিল প্রসঙ্গে গোঘাটে বিধায়ক তৃণমূলের মানস মজুমদার বলেন, “২০২১ সালের নির্বাচনকে মাথায় রেখে এটা সিপিএম এবং বিজেপির যৌথ পরিকল্পনা। সিপিএমের লোকরাই বিজেপিতে গিয়েছেন। তাঁরাই সিপিএমের পতাকা বাঁধছেন।” আর বিজেপির আরামবাগ জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “তৃণমূল ভয় পেয়েছে। আগামী ভোটে আমাদের মোকাবিলা করতে সিপিএমকে এভাবে ডাকতে চাইছে সর্বত্র। কিন্তু এতে লাভ হবে না।’’
এ দিকে সিপিএমের দলীয় পতাকা শনিবার সকালে খুলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে গ্রামে বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। অন্য দিকে বিজেপিরও বেশ কিছু দলীয় পতাকা খুলে ফেলার অভিযোগ আছে সিপিএম নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। সিপিএমের অভিযোগ, “বিজেপির ছেলেরাই এইসব হামলা করে সিপিএমকে দমিয়ে রাখতে চাইছে।” আর বিজেপির অভিযোগ, “সিপিএম এবং তৃণমূল যৌথভাবে এই অসভ্যতা শুরু করেছে”।
দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। মাঠে পড়ে থাকা দুটি বোমাও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy