Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

চন্দননগরের ভাসানে বাহারি আলোর জাদু

হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট চারটি ঘাটে ভাসান হয়েছে। মোট ৭৯টি পুজো উদ্যোক্তা  ভাসানের শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছে।

শোভাযাত্রা: সোমবার চন্দননগরের স্ট্র্যান্ড রোডে জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসান। নিজস্ব চিত্র

শোভাযাত্রা: সোমবার চন্দননগরের স্ট্র্যান্ড রোডে জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসান। নিজস্ব চিত্র

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
চন্দননগর শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ০২:২৪
Share: Save:

সোমবার রাত পর্যন্ত মোটের উপরে নির্বিঘ্নেই চলল চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসান। রাত যত বেড়েছে, এ দিন ততই মানুষের ঢল বেড়েছে রাস্তায়।

হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট চারটি ঘাটে ভাসান হয়েছে। মোট ৭৯টি পুজো উদ্যোক্তা ভাসানের শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছে। ছিল মোট ২৩৭টি ট্রাক। অন্য বছরের মতো চলতি বছরেও জগদ্ধাত্রী ভাসানের সময়ে গঙ্গাদূষণ রোধ করতে সর্তক ছিল প্রশাসন।

চন্দননগরে রানিঘাট-সহ অন্য ঘাটগুলিতে ফুল এবং বেলপাতা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। পুজো কমিটির সদস্যরা সেই জায়গা ব্যবহার করেছেন। জল থেকে কাঠামো তোলার জন্য ঘাট পিছু ২৫ জন যুবক কাজ করেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে গঙ্গার ঘাটে বিশেষ নৌকা রাখা হয়। কর্মীদের হাত ছাড়িয়ে অনেক সময় কাঠামো ভেসে যায়। ভেসে যাওয়া কাঠামোগুলি ওই নৌকায় করে ফের পাড়ে টেনে তুলে আনা হয়েছে।

প্রথা অনুয়ায়ী প্রতি বছর চন্দননগর শহরে একটি নির্দিষ্ট রাস্তা দিয়েই ভাসানের শোভাযাত্রা যায়। সেটি দেখার জন্য রাস্তার দু’পাশে উপচে পড়ে ভিড়। শুধু এই রাজ্য নয়, সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই প্রতি বছর মানুষ ভিড় করেন। এ বারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া থেকে এ দিন মামার সঙ্গে চন্দননগরে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘এত দিন চন্দননগরের আলোর কথা শুনেছিলাম। দেখে সত্যিই চোখ স্বার্থক হলো। এখানে ভাসানে যে শৃঙ্খলা থাকে সেটা কোথাও দেখিনি।’’ আরামাবাগের মাস্টারপাড়া থেকে চন্দননগরের ভাসান দেখতে এসেছিলেন বিবেক মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘একই জেলায় থাকি। কিন্তু এত দিন ইচ্ছে থাকলেও চন্দননগরের ভাসান দেখতে আসা হয়নি। এ বার থেকে প্রতি বারেই আসবো।’’

আলোর-সাজ: চন্দননগরের শোভাযাত্রায়। ছবি: তাপস ঘোষ

চন্দননগর পুরসভা সূত্রে খবর, গঙ্গার কাঠামো তোলার কাজে আজ, মঙ্গলবার থেকে বাড়তি জোর দেওয়া হবে। কর্মীর সংখ্যাও বাড়ানো হবে। প্রাথমিকভাবে গঙ্গা থেকে তোলা খড়ের কাঠামোগুলি গঙ্গার পাড়েই রাখা হয়েছে। পরে সেগুলি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের সবাই সারা রাত সতর্ক ছিলেন। ভাসান নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Light carnival Chandannagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE