এই ঘুড়িই বিলি করা হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র
মকর সংক্রান্তি মানে বঙ্গের নানা প্রান্তে ঘুড়ি ওড়ানোর দিন। এই দিনে ঘুড়িকেই প্রচারের হাতিয়ার করে তুললেন শাসক দলের পুর-কাউন্সিলর। একদিকে, নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করা হল। অন্য দিকে ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর ছড়িয়ে দেওয়া হল ঘুড়ির মাধ্যমে।
ব্যাপারটা কী?
মঙ্গলবার, মকর সংক্রান্তির সকালে শ্রীরামপুরে যুগল আঢ্য ফেরিঘাটের কাছে দাঁড়িয়ে ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে নিয়ে ঘুড়ি বিলি করছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সন্তোষ সিংহ। সামনের টেবিলে থরে থরে সাজানো ঘুড়ি। প্রত্যেকটা একই ধরণের। সাদা কাগজের সেই ঘুড়িতে নীল রঙে লেখা ‘নো এনআরসি, নো সিএএ’। তার পাশে ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর। ‘দিদি’ অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর ছবিও রয়েছে সেখানে। সন্তোষের দাবি, এ দিন তিনি এমন এক হাজার ঘুড়ি বিতরণ করেছেন। এক সময় ঘুড়ি নিতে ছেলে-ছোকরাদের ভিড় জমে গিয়েছিল সেখানে। আশপাশের অনেককেই সেই ঘুড়ি নিয়ে ওড়াতে দেখা গেল। দেদার আলোচনাও চলল বিষয়টি নিয়ে।
ওই কাউন্সিলরের বক্তব্য, নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিপদ নিয়ে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এই ভাবনা। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা সিএএ, এনআরসি-র বিরুদ্ধে পথে নেমেছি। মিটিং, মিছিল, ধর্না— সবই করছি। আমার মনে হয়, নাগরিকত্ব আইনের নামে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের মানুষে মানুষে বিভাজনের এই চক্রান্তের প্রতিবাদ যে ভাবে সম্ভব, সেই পথেই করা উচিত। সেই কারণেই সাধারণ মানুষ যাতে আরও বেশি সচেতন হতে পারেন, তাই এটা করেছি।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘নিজেদের যে কোনও সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মানুষ তুলে
ধরতে পারছেন যে কোনও
মানুষ। তাতে তাঁদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে। তাই দিদিকে বলোর নম্বরও ঘুড়িতে ছেপেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy