—ফাইল চিত্র।
ঠিক ছিল পুজোর পরে বৈঠকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হবে। কিন্তু বুধবার সেই বৈঠক না হওয়ায় চন্দননগরের গোন্দলপাড়া চটকল কবে খুলবে সেই প্রশ্ন ঝুলেই থাকল।
পুজোর মধ্যে গত শনিবার, সপ্তমীর দিন বাড়তি কাজ করানো নিয়ে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ওই চটকলের ম্যানেজার। বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের শান্ত হতে বললে উত্তেজিত কয়েকজন শ্রমিক ম্যানেজারকে মারধর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরদিন, রবিবার চটকলে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস ঝোলান কর্তৃপক্ষ। এর ফলে প্রায় ৪০০০ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। মিলের পক্ষে সঞ্জয় কাজোরিয়া বলেন, ‘‘কিছু বহিরাগত ব্যক্তির ইন্ধনে শ্রমিকরা ক্রমশই উশ়ৃঙ্খল হয়ে পড়ছে। কাজ বন্ধ করে কিছু শ্রমিক অসামাজিক কাজ করে মিলের শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। তাতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়েই ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস দিয়ে মিল বন্ধ করা হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গোন্দলপাড়া মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের উপর বাড়তি কাজের চাপ দেওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। শ্রমিকদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ আগে দুটো মেশিন দেখভালের দায়িত্ব দিতেন একজন শ্রমিকের উপর। সম্প্রতি তিনটি মেশিনের দায়িত্ব দেওয়া হতে থাকে। শ্রমিকদের দাবি, একজন শ্রমিকের পক্ষে তিনটি মেশিন চালানো অসম্ভব। তাতে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এই নিয়ে মিল কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়।
পুজোর মধ্যে মিলের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। রবিবার, অষ্টমীর দিন মিল বন্ধের নোটিস দেখে ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের কয়েকজন লোহার রড নিয়ে মিলের গেটে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা মিলের দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে চন্দননগরের সার্কেল ইনেসপেকটার তপন চৌবে এবং চন্দননগর, হরিপাল, ভদ্রেশ্বর থানার ওসিদরে নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, পুজোর পরে মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হবে। কিন্তু এ দিন সেই বৈঠক হয়নি। ফের কবে বৈঠক হবে তাও জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy