প্রতীকী ছবি।
জাতীয় সড়কে বেপরোয়া যান নিয়ন্ত্রণ করতে হাওড়া কমিশনারেট ও জেলা পুলিশকে পারস্পরিক সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। সোমবার বালিতে এসে কমিশনারেটের ট্র্যাফিক আধিকারিকদের এমনই নির্দেশ দিলেন নতুন পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী। তিনি জেলা পুলিশেরও ডিআইজি পদে রয়েছেন।
মাসখানেক আগেই ছয় নম্বর জাতীয় সড়কের পাকুড়িয়া ব্রিজে দ্রুত গতিতে চলা ফেরারি গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরেই দেখা যায়, জায়গাটির পিছনের অংশ অর্থাৎ বালির দিকটি হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের হলেও দুর্ঘটনাস্থলটি ছিল জেলা পুলিশের অধীনে। সে ক্ষেত্রে বেপরোয়া গতির যানবাহনে নজরের দায়িত্ব কার তা সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তন্ময়বাবু বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে কমিশনারেট ও জেলা পুলিশকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়াতে হবে। এটাই একমাত্র পথ।’’
এ দিন জেলা পুলিশের অধীনে নিবড়া সাব ট্রাফিক গার্ডের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে ছ’নম্বর জাতীয় সড়কে নজরদারির জন্য কোনা মোড়-সহ আরও একটি জায়গায় দ্রুত ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। তন্ময়বাবু জানান, সেখান থেকে র্যাডারের মাধ্যমে গাড়ির গতির উপরে নজরদারি করা হবে। পাশাপাশি নিবেদিতা সেতুতে বেআইনি পার্কিং বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এডিজি ট্র্যাফিকের সঙ্গে আলোচনা করে অন্য জেলার সঙ্গেও কথা বলা হবে।’’
এ দিন বালি ট্র্যাফিক অফিসে হাওড়া কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার, এসিপি, ইনস্পেক্টরদের নিয়ে বৈঠকে শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর উপরেও জোর দেন তন্ময়বাবু। তিনি জানান, চারটি ব্রিজ, দু’টি জাতীয় সড়ক, এক্সপ্রেসওয়ে সবই রয়েছে হাওড়া শহরে। আর তাই উন্নত ট্র্যাফিক ব্যবস্থার জন্য কমিশনারেটের প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডের মধ্যে প্রতিনিয়ত সমন্বয় রাখার নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার। তিনি আরও জানান, রাতে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের যানজট থেকে মুক্তি পেতে বিকল্প একটি রাস্তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের উপরে পড়ুয়াদের আঁকা ও লেখা নিয়ে বই তৈরি করে তা সচেতনতার প্রচারে ব্যবহারেরও চিন্তাভাবনা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy