বেহাল: ব্যবহারের অযোগ্য গণ-শৌচাগার। হাওড়ার রোজমেরি লেনের কাছে। নিজস্ব চিত্র
ঘটা করে উদ্বোধন হলেও জল আর বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়নি। যার ফল, হাওড়া পুরসভার ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্পের টাকায় তৈরি হওয়া অধিকাংশ গণ-শৌচাগার গত দু’বছর ধরে ব্যবহার না হয়ে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শেষমেশ পুরসভার তরফে অবশ্য কিছু জায়গায় নলকূপ তৈরি করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। যদিও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ব্যাপারে তারা কোনও সদিচ্ছা দেখায়নি বলে অভিযোগ।
হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে শহরের বিভিন্ন বস্তি এলাকায় বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য নির্মল বাংলা প্রকল্পের টাকায় ১৬০টি শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া হয়। চওড়া বস্তি, পিলখানা, বেলগাছিয়া ভাগাড়, সংযুক্ত ওয়ার্ডগুলির কয়েকটি জায়গায় তৈরি হয় সেগুলি। এক জায়গায় চার-পাঁচটি করে শৌচাগার তৈরি করা হয়েছিল, যাতে অনেকে একসঙ্গে সেগুলি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু অভিযোগ, কয়েক কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হওয়া শৌচাগারগুলিতে না দেওয়া হয়েছিল পুরসভার জলের লাইন, না করা হয়েছিল জলের বিকল্প ব্যবস্থা। এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ায় রাতে আলোও থাকে না সেখানে। যার জন্য প্রথম দিকে কিছু শৌচাগার নিয়মিত ব্যবহার হলেও জল ও বিদ্যুতের অভাবে সেগুলি শেষ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়।
হাওড়া পুরসভার কমিশনার তথা সদ্য গঠিত প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন বিজিন কৃষ্ণ জানান, জলের ব্যবস্থা না করেই শৌচাগারগুলি তৈরি করা হয়েছিল। ফলে একে একে অধিকাংশই আর ব্যবহারযোগ্য থাকেনি। কিন্তু জলের ব্যবস্থা তো পুরসভারই করার কথা? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য পুর কমিশনারের থেকে পাওয়া যায়নি।
বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘নির্মল বাংলা প্রকল্পের টাকায় তৈরি হওয়া এই শৌচাগারগুলিতে আলোর ব্যবস্থা থাকে না। বাসিন্দারা নিজেরাই আলো লাগিয়ে নেন। তবে জলের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।’’ তিনি জানান, শৌচাগারগুলি যাতে বাসিন্দারা ব্যবহার করেন, সে কারণে প্রতি জায়গায় একটি করে নলকূপ করে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে বাসিন্দারা সেখান থেকে পানীয় জলের পাশাপাশি শৌচাগারের জন্যও জল নিতে পারেন।’’
পুর কমিশনারের কথায়, ‘‘ইতিমধ্যেই দরপত্র ডেকে কয়েকটি জায়গায় নলকূপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বাকিগুলিও পরপর হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy