ফাইল চিত্র।
দলে ‘বিদ্রোহের’ আবহে জেলা কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন হুগলির তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব। বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরে ডাকা ওই বৈঠকে ‘বিদ্রোহী’ নেতানেত্রীদের কত জন উপস্থিত থাকেন, কৌতূহল ছি্ল অনেকেরই। উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না এবং আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে বৈঠকে দেখা গেল না। এমনকি, ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠকেও তাঁরা অদৃশ্য। বাকি ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কেরা অবশ্য ‘ভার্চুয়ালে’ হাজির ছিলেন।
প্রবীর-সহ বিধায়কদের একাংশ ইতিমধ্যেই দিলীপের বিরুদ্ধে একক ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অভিযোগ তুলেছেন। সে কারণেই কি বৈঠক এড়িয়ে যাওয়া?
প্রবীরের দাবি, ‘‘আমি এখন জমায়েত থেকে দূরে থাকতেই চাইছি। ভাচুর্য়াল বৈঠকের প্রস্তাব জেলা সভাপতিকে আমিই দিয়েছিলাম। একেবারে শেষ মুহূর্তে এ দিন বৈঠকের লিঙ্কটা পাওয়ায় সমস্যায় পড়ে যাই। নেট সংযোগ দুর্বল থাকায় বৈঠকে যোগ দিতে পারিনি। দলেরই একটা বৈঠকে আমি কলকাতায় আসি।’’ অপরূপার দাবি, ‘‘লিঙ্ক পেলেও যান্ত্রিক কারণে বৈঠকে ঢুকতে পারিনি।’’ চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি বেচারামের সঙ্গে। তিনি ফোন ধরেননি। তৃণমূল সূত্রের খবর, ‘দিলীপ-বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী, ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র এবং সপ্তগ্রামের বিধায়ক তথা মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত ‘ভার্চুয়াল’ বক্তব্য পেশ করেন বৈঠকে। দিলীপ বলেন, ‘‘করোনা যথেষ্ট ছড়িয়েছে। তাই বৈঠকের দু’রকম আয়োজনই ছিল। অনেকেই সরাসরি এসেছিলেন। অনেকে ভার্চুয়াল লিঙ্কে।’’ দুই বিধায়ক এবং এক সাংসদের অনুপস্থিতি নিয়ে দিলীপ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
দলের জেলা সভাপতি পদে দিলীপকে পুনর্নিয়োগ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও দিলীপের বিরুদ্ধে একক ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অভিযোগে এককাট্টা হয়েছেন বিধায়কদের একাংশ এবং সাংসদ অপরূপা। তৃণমূলেরই একটি সূত্রের খবর, সম্প্রতি তাঁরা সিঙ্গুরে বৈঠকও করেন। দলের রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য এই ‘বিদ্রোহ’কে ততটা আমল দিতে রাজি নন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy