Advertisement
০৪ মে ২০২৪

শ্রাবণী মেলায় কড়া নজরদারি

সারা বছর উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের মণিরামপুর থেকে শেওড়াফুলি ২ পয়সার ঘাটের মধ্যে ফেরি পরিষেবা চালু থাকে। অন্যান্য বছর শ্রাবণী মেলার সময় বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে পুণ্যার্থীদের সরাসরি নিমাইতীর্থ ঘাটে নামানোর ব্যবস্থা থাকে। তার জন্য ওই ঘাটে অস্থায়ী বাঁশের জেটি তৈরি হয়। কিন্তু মাস কয়েক আগে ভদ্রেশ্বরে জেটি দুর্ঘটনার পরে এ বার কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বৈদ্যবাটি শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৭ ০১:২৩
Share: Save:

মাস কয়েক আগে ভদ্রেশ্বরে ঘটে যাওয়া জেটি দুর্ঘটনার পরে আসন্ন শ্রাবণী মেলায় কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় হুগলি প্রশাসন। তাই তারকেশ্বরে ওই মেলার সময় বৈদ্যবাটির গঙ্গার ঘাটের কাছে জলের মধ্যে পোঁতা হবে বাঁশ। থাকছে না অস্থায়ী জেটি। ভুটভুটিতে যাতে বাড়তি যাত্রী না ওঠে, তার জন্য চলবে নজরদারি। সামনের শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে মেলা।

জেলা পুলিশের হিসেবে, শ্রাবণী মেলার সময়ে কমবেশি ২০ লক্ষ মানুষ নিমাইতীর্থ-সহ বৈদ্যবাটি পুর-এলাকার ৯টি ঘাট থেকে জল নেন। সবথেকে বেশি ভিড় হয় শনি, রবি এবং সোমবার। তাই ওই তিন দিন বৈদ্যবাটির কয়েকটি রাস্তায় ‘নো-এন্ট্রি’ করা হবে। মঙ্গলবার ওই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে দেখে যান চন্দননগরে পুলিশ কমিশনার পীযূষ পাণ্ডে। জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত কয়েক বছরে নিমাইতীর্থ ঘাট এবং সংলগ্ন এলাকায় পকেটমারি, কেপমারি বা মহিলাদের শ্লীলতাহানি অনেকটাই সামলানো গিয়েছে। এ বার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে।’’

সারা বছর উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের মণিরামপুর থেকে শেওড়াফুলি ২ পয়সার ঘাটের মধ্যে ফেরি পরিষেবা চালু থাকে। অন্যান্য বছর শ্রাবণী মেলার সময় বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে পুণ্যার্থীদের সরাসরি নিমাইতীর্থ ঘাটে নামানোর ব্যবস্থা থাকে। তার জন্য ওই ঘাটে অস্থায়ী বাঁশের জেটি তৈরি হয়। কিন্তু মাস কয়েক আগে ভদ্রেশ্বরে জেটি দুর্ঘটনার পরে এ বার কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় প্রশাসন। তাই এ বার অস্থায়ী জেটি তৈরি হচ্ছে না। পুণ্যার্থীদের ২ পয়সার ঘাট থেকে নিমাইতীর্থ ঘাট পর্যন্ত হেঁটেই যেতে হবে। পুণ্যার্থীরা গঙ্গায় নেমে জল তোলার সময়ে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না থাকে তার জন্য নিমাইতীর্থ ঘাটে এ বার জলের মধ্যে বাঁশ পোঁতা থাকবে। যাতে কারও জলের তোড়ে ভেসে বা তলিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি হলে তিনি সেই বাঁশ ধরে রক্ষা পেতে পারেন।

জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ভুটভুটিতে যাতে নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি যাত্রী যাতে না ওঠেন, সে দিকে কড়া নজর রাখা হবে। ‘লাইফ জ্যাকেট’ পরা এ বার বাধ্যতামূলক। এই বিষয়ে হুগলি কমিশনারেটের তরফে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে। নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে ১০ নম্বর রেলগেট, বৈদ্যবাটি চৌমাথা, ২ পয়সার ঘাট-সহ বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি-র নজরদারি থাকবে। খোলা হবে দু’টি কন্ট্রোল রুম। রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। গঙ্গায় পুলিশের লঞ্চ থাকবে। নজরদারিতে থাকবেন সিভিল ডিফেন্সের স্বেচ্ছাসেবকেরা। রাখা হবে স্পিডবোট।

বৈদ্যবাটি পুরসভার এক কর্তা জানান, পুরসভার পক্ষ থেকে ঘাট এবং সংলগ্ন রাস্তায় পুরুষ এবং মহিলা স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে। থাকবে পর্যাপ্ত আলো। নিমাইতীর্থ ঘাট এবং আশপাশের চত্বরে জমা হওয়া আবর্জনা সঙ্গে সঙ্গে সাফাই করা হবে। থাকবে মেডিক্যাল ক্যাম্প।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE