Advertisement
০৫ মে ২০২৪

বধূর অপমৃত্যু, ধৃত স্বামী-সহ চার

ঘটনার পর থেকেই দীপঙ্কর ও তাঁর বাবা পলাতক ছিলেন অভিযুক্তরা। তবে মঙ্গলবার দুপুরে দীপঙ্করের বাড়িতে চড়াও হন শম্পার বাপের বাড়ির লোকজন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০০:২৯
Share: Save:

শ্বাসরোধ করে এক মহিলাকে খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামী, শাশুড়ি ও দুই ননদকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার উলুবেড়িয়া উত্তর গঙ্গারামপুরের এই ঘটনায় মৃতের নাম শম্পা সিংহ (২২)।

ঘটনার পর থেকেই দীপঙ্কর ও তাঁর বাবা পলাতক ছিলেন অভিযুক্তরা। তবে মঙ্গলবার দুপুরে দীপঙ্করের বাড়িতে চড়াও হন শম্পার বাপের বাড়ির লোকজন। বেধড়ক মারধর করা হয় দীপঙ্করের মা রূপালি সিংহ এবং তাঁর দুই মেয়ে টুসি রানা এবং মধুমিতা প্রামাণিককে। পরে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ তিনজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দীপঙ্করকে উলুবেড়িয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আড়াই বছর আগে আরামবাগের বাসিন্দা নিমাই রাণার মেয়ে শম্পার বিয়ে হয়েছিল উলুবেড়িয়ার উত্তর গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা দীপঙ্কর সিংহের। পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের এক বছরের একটি ছেলেও রয়েছে।

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের ছয় মাস পর থেকেই পণের জন্য চাপ দিতে শুরু করে দীপঙ্কর ও তার পরিবারের লোকজন।অভিযোগ, বাপের বাড়ি থেকে টাকা না আনতে পারলেই বেধড়ক মারধর করা হত শম্পাকে। সে বিষয়ে পরিবারে এসে জানিয়েওছিলেন তিনি। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় নিমাইবাবু পুজোর আগে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে চলে এসেছিলেন। তারপর অবশ্য শম্পার স্বামী দীপঙ্কর ও শ্বশুর শঙ্কর সিংহ ভুল স্বীকার করে তাকে বাড়ি ফিরিয়েও এনেছিলেন।

শম্পার বাবা নিমাইবাবুর কথায়, ‘‘সোমবার সন্ধ্যায় মেয়ের প্রতিবেশীরা জানায়, শম্পা অসুস্থ। মঙ্গলবার সকালে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে এলে আমাদের জানানো হয়, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে আমার মেয়ে।’’ এরপরেই উলুবেড়িয়া থানায় দীপঙ্কর সিংহ-সহ তাঁর বাবা, মা ও দুই বোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন শম্পার বাবা।

তবে শম্পার শাশুড়ি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, অন্য এক যুবকের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল শম্পার। মাঝেমধ্যেই শম্পাকে ফোন করত এই যুবক। সেই নিয়ে প্রায়শই অশান্তি হত স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে। সোমবারও অশান্তি হয়েছিল দুজনের মধ্যে। তার পরেই গলায় দড়ি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন শম্পা। তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্‍সকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। শম্পার শ্বশুর শঙ্কর সিংহ পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Unnatural Death Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE