সাবিনা ইয়াসমিন
প্রায় দু’মাস মেসের একই ঘরে ছিলেন তিনি। কিন্তু রুমমেটদের সঙ্গে কোনও কথা বলতেন না বাইশ বছরের তরুণী। গভীর রাত পর্যন্ত কথা বলতেন ফোনে। শুক্রবার সকালে রুমমেটরা দেখেন, কানে হেডফোন লাগানো অবস্থায় গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন তিনি। পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোট।
বালির বীরেশ্বর চ্যাটার্জি স্ট্রিটের একটি মেসে শুক্রবার সাবিনা ইয়াসমিন নামে ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, সাবিনা নন্দীগ্রামের বাসিন্দা। মেসের মালিক শিবপ্রসাদ রায় জানান, তরুণী নিজেকে হাওড়া বাস স্ট্যান্ড এলাকার একটি হোটেলের কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। জানুয়ারিতে ওই মেসে এসেছিলেন সাবিনা। শিবপ্রসাদবাবু বলেন, ‘‘ভাড়া নেওয়ার সময়ে এক বন্ধুকে তিনি সঙ্গে এনেছিলেন। ভাড়ার ফর্ম পূরণ করে পরিচয়পত্রও জমা দিয়েছিলেন।’’
শিবপ্রসাদবাবুর বাড়ির একতলায় রয়েছে ওই মেস। ঘরে ঢুকে বাঁ হাতে ছোট্ট এক ফালি জায়গা। সেখানেই একটি খাটে শুতেন সাবিনা। তার পাশের আর একটি বড় জায়গায় চার জন তরুণী থাকেন। তাঁদের এক জন প্রিয়া দত্ত বলেন, ‘‘সাবিনা সব সময়ে নিজের জায়গা পর্দা দিয়ে ঘিরে রাখতেন। অনেক রাত পর্যন্ত ফোনে কথা বলতেন।’’ এ দিন সকালে সাবিনা ঘুম থেকে না ওঠায় ওই ত রুণী পর্দা সরিয়ে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।
পুলিশ সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে সাবিনা প্রেমে আঘাত পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে কারও নাম লেখেননি। তাঁর দু’টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে একটি ‘লক’ করা ছিল। ঘটনার রাতে কানে হেডফোন লাগিয়ে ওই তরুণী গান শুনছিলেন, না কি কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন, তা জানতে পারেনি পুলিশ। সাবিনার বাবা শেখ আমিনুদ্দিন এ দিন বালিতে এসে জানান, প্রেমঘটিত কারণে মেয়ে মানসিক ভাবে
ভেঙে পড়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy