প্রতীকী ছবি।
করোনা আক্রান্তদের মৃতদেহ সৎকারের জন্য আলাদা শ্মশান তৈরির জন্য উদ্যোগী হয়েছে কোলাঘাট এবং পাঁশকুড়া ব্লক প্রশাসন। দেখা হচ্ছে জমি। দাহকাজের জন্য কর্মী নিয়োগ করতে গিয়ে বিপত্তির মুখে তারা। বহু ক্ষেত্রেই দাহ কার্যের জন্য বিপুল অঙ্কের টাকা দাবি করেছেন ওই কাজে যোগ দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা।
করোনা আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে কেউ মারা গেলে তাঁর দেহ দাহ করা হয় সরকারি উদ্যোগেই। কিন্তু কেউ বাড়িতে মারা গেলে তাঁর দেহ দাহ করা নিয়ে সম্প্রতি শুরু হয়েছে জটিলতা। স্থানীয়দের আপত্তির কারণে ওই ধরনের দেহ দাহ করতে প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করতেই হয়। সম্প্রতি কোলাঘাটে ব্লকেই এমন একটি ঘটনায় বিডিওকে সর্বদল বৈঠক ডাকতে হয়েছিল। এই পরিস্থিতে জেলার প্রতিটি ব্লকেই আলাদা করে শ্মশান গড়ে তলার জন্য শুরু হয় জায়গা খোঁজা। কোলাঘাটে কলিশ্বরে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দেহাটি খালের পাড়ে সেচ দফতরের জায়গায় শ্মশান তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় কোলাঘাট ও পাঁশকুড়া ব্লক প্রশাসন। জায়গাটি পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট ব্লকের সীমানা লাগোয়া এবং বড়মা কোভিড হাসপাতালের অদূরেই অবস্থিত। দুই ব্লকের আধিকারিক ও জন প্রতিনিধিরা জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন। মিলেছে সেচ দফতরের সম্মতিও। সূত্রের খবর খুব শীঘ্রই ওই জায়গায় শ্মশানের চুল্লি সহ সমস্ত রকম পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হবে।
এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু এখন নতুন বিপত্তি। করোনায় মৃত ব্যক্তির দাহ করার জন্য প্রথম দিকে লোক পাওয়া যাচ্ছিল না। যদিও বা একটি দল এই কাজ করতে রাজি হয়েছে, তারা দেহ পিছু ১৫ হাজার টাকা দাবি করছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। টাকা। এত টাকা খরচ করে দেহ দাহ করা যাবে কি না, সে নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়ও। কোলাঘাটের বিডিও মদন মণ্ডল বলেন, ‘‘দাহ করার সঙ্গে যুক্ত লোকজন দেহ পিছু ১৫ হাজার টাকা দাবি করেছে। এটা অনেকটাই বেশি। বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। যেসব মৃতের পরিবারের সামর্থ্য রয়েছে, তাঁদের কিছু টাকা ব্যয় করার জন্য অনুরোধ করা হবে।’’
এ ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘সব কিছু ঠিকভাবে পদক্ষেপ করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy