সরব মহিলারা। নিজস্ব চিত্র
বন্ধ পানশালা খুলতে গিয়ে ‘প্রতিরোধে’র মুখে কাউন্সিলর।
আবগারির কালেক্টরের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে খড়্গপুর শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পানশালাটি। বৃহস্পতিবার চণ্ডীপুরের সেই পানশালা খুলতে যান মালিক সুখেন্দু মিত্র। সঙ্গে ছিলেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্যাণী ঘোষ। বাধা দেন মহিলারা। সুখেন্দুর সমর্থনে কাউন্সিলর কথা বললে বচসা বাধে। কাউন্সিলর মহিলাদের কয়েকজনকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় মনিকা সরকার, মিনতি নাগেরা বলেন, “অন্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হয়েও কল্যাণী ঘোষ জোর করে পানশালাটি খুলতে চাইছিলেন। প্রতিবাদ করায় আমাদের ধাক্কা দিয়ে হেনস্থা করে পুলিশের স্টিকার দেওয়া গাড়িতে চলে যান।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, কল্যাণীও হাইকোর্টের নির্দেশের কথা বলছিলেন। কিন্তু কাউন্সিলর এ সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা দেখাতে পারেননি। কল্যাণী বলেন, “ওই পানশালার মালিক আমার আত্মীয়। তাই গিয়েছিলাম। পানশালা মালিক আমাকে জানান ওঁরা হাইকোর্টের নির্দেশে দোকান খুলছে।” পানশালার মালিকেরও দাবি, ‘‘সাফাই করতে পানশালা খুলেছিলাম। হাইকোর্টের নির্দেশ সম্পর্কে কাউন্সিলর কী বলেছেন জানি না।’’
ঘটনা পুরপ্রধান ও পুলিশকে জানান মহিলারা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “বন্ধ পানশালা খুলতে যাওয়া বা মালিকের সমর্থন নেওয়ার এক্তিয়ার নেই কল্যাণী ঘোষের। বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসন ও আবগারি দফতরের অধীন। এমন ঘটনাকে আমি বা আমাদের দল সমর্থন করে না।” আবগারি দফতরের জেলা সুপার একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “খড়্গপুরের চণ্ডীপুরের ওই পানশালার বিষয়টি আবগারি কমিশনারের বিচারাধীন। এমন নির্দেশিকা আমাদের কাছে নেই।” ২০১৬ সালের অগস্টে এই পানশালা ঘিরে সরব হন মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ২০১৬ সালের ১৫ডিসেম্বর ওই পানশালা বন্ধ করে দেয় আবগারি দফতর। বিষয়টি এখন আবগারি কমিশনারের বিচারাধীন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy