Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Shilabati River

বাঁধে সুড়ঙ্গ, নোটিস রেস্তরাঁ মালিকের নামে 

পুরসভার নিয়ম বলছে, নদী বাঁধে আট মিটার ছেড়ে বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়।

ঘাটাল শহরে শিলাবতী নদীর দুই পাড়ে এই ভাবেই গজিয়ে উঠেছে পাকা বাড়ি। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

ঘাটাল শহরে শিলাবতী নদীর দুই পাড়ে এই ভাবেই গজিয়ে উঠেছে পাকা বাড়ি। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:০৯
Share: Save:

বাঁধে সুড়ঙ্গ কেটে নির্মাণে শোরগোল শুরু হয়েছিল আগেই। এ বার বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ পুরসভা এবং সেচ দফতর বাড়ির মালিককে নোটিস দিল। তাতে বলা হয়েছে, সাত দিনের মধ্যে নদীবাঁধের পুনর্নিমাণ করে দিতে হবে। একই সঙ্গে কেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে না সেই ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে।

নদীবাঁধের নীচে সুড়ঙ্গ তৈরির ঘটনায় নতুন জটিলতা সামনে এসেছে। পুরসভার নিয়ম বলছে, নদী বাঁধে আট মিটার ছেড়ে বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়। আবার সেচ দফতরের নিয়ম বলছে, আট মিটার নয়। ছাড়তে হবে দুশো মিটার। বাড়ি করতে হলে দুশো মিটার দূরে নির্মাণ কাজ করতে হবে। দুই দফতরই একে অপরের নিয়মের কথা জানে। কিন্তু কোনটা গ্রাহ্য হবে তা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। যেহেতু বাড়ি তৈরির ছাড়পত্র দেয় পুরসভা, তাই আট মিটার ছেড়ে নির্মাণ হয়। কিন্তু ঘাটালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে অনুকূল আশ্রমের রাস্তায় আস্ত নদীবাঁধে সুড়ঙ্গ কেটে বাড়ি নির্মাণ চলছিল। ঘাটালের পুরপ্রধান বিভাস ঘোষ বলেন, “ওই রেস্টুরেন্ট মালিককে নোটিস দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” মহকুমা সেচ আধিকারিক উত্তম হাজরা বলেন, “বাঁধের ওই অংশ সাত দিনের মধ্যে মেরামত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেস্টুরেন্ট মালিককে। তা নাহলে প্রশাসন নির্মাণ ভেঙে দেবে।” যাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ, ঘাটালের রেস্টুরেন্ট মালিক কার্তিক মাইতি বললেন, “প্রশাসন নির্দেশ মেনে নদীবাঁধ মেরামত করে দেওয়া হবে।’’

ঘাটালবাসীর অভিযোগ, এমনিতেই পুর এলাকায় বে আইনি নির্মাণ নতুন নয়। নদী পাড়ের জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে। নদীবাঁধে দু’ধারেই অসংখ্য বাড়ি নির্মাণ হয়েছে। তা দেখেও চুপ থেকেছে প্রশাসন। তাতেই দিনে দিনে সাহস বেড়েছে অনেকের। ঘাটালে চারদিকে ঘুরলে নজরে পড়েবে, নদী বাঁধের উপর অসংখ্য ছোট বড় নির্মাণ। সামনে পুরভোট। সুড়ঙ্গের ঘটনা সামনে আসতেই মাঠে নেমেছে বিরোধী সিপিএম, বিজেপি-সহ সব পক্ষই। পুরপ্রধান বলেন, “বিল্ডিং রুল মেনে বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়। সেচ দফতরের নিয়মের কথা আমাদের জানা নেই।” মহকুমা মহকুমা শাসক অসীম পাল বলেন, “নদীবাঁধে যাতে নতুন করে এমন নির্মাণ না হয়, তা পুরসভা ও সেচ দফতরকে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Shilabati River Dam Tunnel Resturant Ghatal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE