গোয়ালতোড়ের জনসভায় অভিষেককে পাতার মুকুট পরিয়ে অভ্যর্থনা। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
বিজেপিকে বিঁধলেন। দলীয় কর্মীদের আগামী চার-পাঁচমাস একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিলেন। সোমবার গোয়ালতোড়ে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার মূল সুর ছিল এটাই।
পঞ্চায়েত ভোটে গোয়ালতোড় ব্লকে শক্তিবৃদ্ধি করেছে বিজেপি। চারটি অঞ্চলে আধিপত্য দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের। পাশাপাশি তৃণমূলের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে চলে আসে দলের ব্লক সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এ দিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘সামনের ৪-৫ মাস বুথে বুথে পড়ে থাকুন। রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা আসনের ৪২ টিই আমাদের পেতে হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করুন।’’ সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই তিনি বলেন, ‘‘দলের অনেক কর্মীর মধ্যেই অভিমান হয়, পুরানো কর্মীদের অভিমানটা বেশি। নতুনরা যদি যোগ্য হয়, তাহলে তাদের মানিয়ে নিয়ে সবাইকে নিয়েই চলতে হবে।’’এ দিন নানা প্রসঙ্গে বিজেপিকে বিঁধেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘‘নমামি গঙ্গে প্রকল্প অর্থাৎ গঙ্গা পরিষ্কার করার নাম করে কয়েক কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বিজেপি সরকার।’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি এ দিন সমাবেশ মঞ্চেই দলবদল করে আসা কয়েকজনের নামোল্লেখ করেন। দলবদলের বড় চমক না থাকলেও গোয়ালতোড়, শালবনি, চন্দ্রকোনা রোড সহ বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রায় ২০০ জন বিজেপি নেতাকর্মী ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধি বিজেপি ছেড়ে তাদের দলে যোগদান করেন বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। এমনকি, মেদিনীপুর পুরসভার দুই কাউন্সিলর এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন বলে তৃণমূলের দাবি। এই ২ জন হলেন বিশ্বেশ্বর নায়েক নির্দল ও অসিত মহাপাত্র বাম সমর্থিত নির্দল কাউন্সিলর। যদিও জেলা বিজেপির সহ সভাপতি প্রদীপ লোধা জানিয়েছেন, তাদের দল থেকে শাসক দলে যোগদানের খবর তাঁর জানা নেই।
সভা উপলক্ষে এদিন কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোয়ালতোড়। রবিবার রাতে গোয়ালতোড়ে বৃষ্টি হওয়ায় মূলমঞ্চের যাতে ক্ষতি না হয় তারজন্য অতিরিক্ত বাঁশ দিয়ে পোক্ত করে মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল। অভিষেককে পাতার মুকুট পরিয়ে বরণ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy