দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে মাঝরাতে ঘটল দুর্ঘটনা। মৃত্যু হল বাবা ও মেয়ের। প্রাণ গিয়েছে গাড়ির চালকেরও।
বুধবার রাত দু’টো নাগাদ ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়কে দাসপুর থানার জগন্নাথপুরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতেরা হলেন— সুশীল দাস (৫৪), তাঁর মেয়ে মৌমিতা দাস (২৭) ও গাড়ির চালক সুব্রত দে (৪৫)। তিনজনেরই বাড়ি ঘাটাল শহরে। মৌমিতা ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নার্স।
বুধবার রাতে হাওড়ার কদমতলার বিয়েবাড়ি থেকে গাড়িতে ঘাটাল ফিরছিলেন সুশীলবাবুরা। মেচগ্রাম পেরিয়ে ঘাটাল আসার পথে সোনামুই ঘেঁষা জগন্নাথপুরের কাছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে গাড়ি নিয়ে কালভার্টে ধাক্কা মারেন। তারপর রাস্তার ধারের একটি গাছে সজোরে ধাক্কা মেরে পুকুরে উল্টে পড়ে গাড়িটি। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই তখন পুলিশের টহলদারি গাড়ি ছিল। আর সুশীলবাবুদের গাড়ির পিছনে অন্য গাড়িতে ছিলেন তাঁদেরই আত্মীয়েরা। সুশীলবাবুদের গাড়িতে মোট আট জন ছিলেন। তবে সব থেকে জখম হন সুশীলবাবু, মৌমিতা ও সুব্রত। তাঁদের উদ্ধার করে ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পথেই মারা যান বাবা-মেয়ের। আর হাসপাতালে চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান চালক সুব্রত।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমাদের গাড়ি স্বাভাবিক গতিতেই ছিল। কী করে এমন ঘটনা ঘটল বুঝলাম না।” তবে পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ, চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনার কথা জানাজানি হয়। ঘাটাল শহরে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পরিবারের এমন দুর্ঘটনায় পড়া নিয়ে শুরু হয় চর্চা। সুশীলবাবুদের কোন্নগরের বাড়িতে ভিড় করেন অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy