অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে মিছিল। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস
দেহ উদ্ধারের পরে কেটে গিয়েছে তিন দিন। এখনও ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃতের পরিজন। সোমবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন ‘সেভ ডেমোক্রেসি’র প্রতিনিধিরা।
গত শনিবার সকালে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক অফিস সংলগ্ন চিয়াড়া গ্রামে এক নবম শ্রেণির ছাত্রীর নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। বাসিন্দাদের দাবি মতো ঘটনায় খড়্গপুর থেকে পুলিশ কুকুর এনে তল্লাশিও চলেছিল। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ মৃতার পরিজন। তাঁরা তদন্তকারীদের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় এলাকার কয়েকজন মিলে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তাঁরা পুলিশকে সন্দেহভাজনের কথা জানিয়েও ছিল। কিন্তু এর পরেও কেউ ধরা না পড়ায় অসন্তুষ্ট এলাকাবাসীও। চিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক মান্না বলেন, ‘‘আমরা চাই দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাক। কিন্তু এখনও তো কেউ ধরা পড়ছে না।’’ সিআইডি তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
তদন্ত নিয়ে গ্রামবাসীদের প্রশ্নের জবাবে তমলুকের এসডিপিও সুরজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘শনিবার দেহ উদ্ধার দিন এলাকায় বৃষ্টি পড়েছিল। এছাড়া, পুলিশ পৌঁছনোর আগে ঘটনাস্থলে এলাকাবাসীরা ভিড় করেছিলেন। তাঁদের অনেক পায়ের ছাপ ছিল। এতে পুলিশ কুকুরের ঘ্রাণ নিতে অসুবিধা হয়েছে। তবে কুকুর কিছু সঙ্কেত আমাদের দিয়েছে। সেগুলির ভিত্তিতে তদন্ত এগোচ্ছে।’’ পাশাপাশি, এসডিপিও জানিয়েছেন, ঘটনার দিন থেকেই মৃত কিশোরীর এক পড়শি নিখোঁজ। সেই বিষয়টিও ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গ্রামবাসীদের পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানতে রাজি নন জেলার পুলিশ সুপার ভি সলোমন নেসাকুমার। তিনি বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় একজনের নাম জানতে পেরেছি। তাকে ধরার জন্য তল্লাশি চলছে।’’
এদিকে, কিশোরীর মৃত্যুর প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রচার শুরু হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন জেলার বিভিন্ন জায়গায় মৌনী মিছিল বের করেন স্থানীয়েরা। বুড়ারি বাজারে ঘণ্টাখানেক পথ অবরোধও করা হয়।
বিকেলে ‘সেভ ডেমোক্রেসি’র রাজ্য সম্পাদক চন্দন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চিয়াড়া গ্রামে যান। সেখানে মৃতার মায়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন প্রতিনিধিরা।
চন্দনবাবু বলেন, ‘‘ওই পরিবারকে আইনি সহযোগিতা করতে চাই।’’ পরে তাঁরা জেলার পুলিশ সুপার ভি সলোমন নেসাকুমারের সঙ্গে দেখা করেন। বাম বিধায়ক অশোক দিন্দা এবং পাঁশকুড়ার সিপিএম বিধায়ক ইব্রাহিম আলির নেতৃত্বে আর একটি প্রতিনিধি দলও এ দিন কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy