Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

স্নাতকে অসম্পূর্ণ ফলে উদ্বেগ

যদিও অনেক পড়ুয়ার ফল অসম্পূর্ণ থাকায় বেড়েছে বিভ্রান্তি। পরীক্ষার তিন মাস পরেও অনেক পরীক্ষক একাংশ পরীক্ষার্থীর খাতা জমা না করায় অসম্পূর্ণ ফলের সংখ্যা বেড়েছে বলে দাবি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের। 

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৮
Share: Save:

অনলাইনে স্নাতকের প্রথম বর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। যদিও অনেক পড়ুয়ার ফল অসম্পূর্ণ থাকায় বেড়েছে বিভ্রান্তি। পরীক্ষার তিন মাস পরেও অনেক পরীক্ষক একাংশ পরীক্ষার্থীর খাতা জমা না করায় অসম্পূর্ণ ফলের সংখ্যা বেড়েছে বলে দাবি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের।

গত ২২ নভেম্বর স্নাতকে প্রথম বর্ষের ফল অনলাইনে প্রকাশ করে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ে দর্শন পাশ বিষয় রয়েছে এমন বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার ফল অসম্পূর্ণ এসেছে।

সবং কলেজের অনেকেই তাঁদের পরীক্ষাকেন্দ্র যেখানে পড়েছিল সেই ডেবরা শহিদ ক্ষুদিরাম কলেজেও যাচ্ছেন। পড়ুয়াদের দাবি, পরীক্ষাকেন্দ্রের শংসাপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা করলে তবে সমস্যার সমাধান হতে পারে। পড়ুয়াদের থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে বুধবারই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করেন সবং কলেজের অধ্যক্ষ তপন দত্ত। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জুলাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকস্তরের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা হয়। ঠিক ছিল, অক্টোবরেই ফল প্রকাশ করা হবে। কিন্তু সময়ে বহু পরীক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে খাতা জমা না করায় আরও এক মাস দেরি হয়েছে। তাই অনেক পরীক্ষক খাতা জমা দেওয়ার আগেই প্রকাশ করা হয়েছে ফল। এতেই দেখা দিয়েছে এমন সমস্যা। শুধু সবং নয়, বহু কলেজেই বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার ফল অসম্পূর্ণ এসেছে বলে খবর।

যদিও বেলদা কলেজের এক পরীক্ষক দাবি করছেন, “শিক্ষকেরা সময়েই খাতা জমা দিয়েছেন বলে আমার ধারণা। এ বার পাশের খাতা যে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে সেখানকার পরীক্ষকেরা দেখেছেন। নিয়ম অনুযায়ী, ‘অ্যাওয়ার্ড সিটে’ নম্বর বসাতে হয়। অনেক পরীক্ষক ‘অ্যাওয়ার্ড সিট’ পাননি। এর জেরে যে যেখানে পেরেছে নম্বর বসিয়েছে। এতেই জটিলতা তৈরি হয়েছে।”

যদিও এ নিয়ে সবং কলেজের অধ্যক্ষ তপন দত্ত বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা বলেছি। পরীক্ষকেরা সময়ে খাতা জমা না দেওয়ার কারণে আমাদের কলেজের কয়েকজনের এমন অসম্পূর্ণ ফল এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, মার্কশিটে সঠিক ফল দেওয়া হবে।” উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “সময়ে খাতা জমা না পড়ায় অনেক সময় এমন অসম্পূর্ণ ফল আসে। তবে আমি সেগুলি মার্কশিটে ঠিক করে দিতে বলেছি। খোঁজ নিচ্ছি ঠিক কী হয়েছে।” আর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক হরিপ্রসাদ সরকার বলেন, “কয়েকজন পরীক্ষক খাতা জমা দিতে দেরি করেছেন। তার জন্য তো এত পড়ুয়ার ফল আটকে থাকতে পারেনা। তাই কয়েকজনের ফল অসম্পূর্ণ রেখেই ফল প্রকাশ করতে হয়েছে। মার্কশিটে সেগুলি ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Education Academics Vidyasagar University
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE