ভোগান্তি: এটিএমে গিয়ে ফিরতে হচ্ছে ফাঁকা হাতেই। নিজস্ব চিত্র
এটিএম প্রচুর। কিন্তু তার মধ্যে অনেক এটিএমেই থাকে না টাকা। ফলে ভোগান্তির একশেষ। অভিযোগ, প্রায়ই এটিএম থেকে টাকা তুলতে মেদিনীপুর শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছুটে বেড়াতে হচ্ছে।
বিদ্যুতের বিল জমা দেবেন বলে মেদিনীপুরের বটতলাচকের কাছে এক এটিএমে টাকা তুলতে এসেছিলেন সুদীপ দাস। টাকা নেই। তাই বাধ্য হয়ে তিনি গেলেন কেরানিতলার এক এটিএমে যান। সেখানেও একই পরিস্থিতি। সুদীপের কথায়, “মেদিনীপুরে এটিএমের সংখ্যা কম নেই। তবে অনেক এটিএমেই বেশির ভাগ সময় টাকা থাকে না। জিজ্ঞেস করলে, রক্ষীরা জানান, লিঙ্কের সমস্যা রয়েছে। তাই টাকা বেরোচ্ছে না।” তিনি বলেন, “লিঙ্কের সমস্যা থাকলে তো স্ক্রিনে তা দেখাবে। অনেক সময় তা দেখায় না। টাকা তুলতে চার- পাঁচটা এটিএমে ঘুরতে হলে সত্যিই সমস্যার।”
কেন অনেক এটিএমে থাকে না? টাকা কি নিয়মিত ঢোকানো হয় না? পশ্চিম মেদিনীপুরের লিড ডিস্ট্রিক্ট ব্যাঙ্ক ম্যানেজার (এলডিএম) শক্তিপদ পড়িয়া বলেন, “এমনটা হওয়ার কথা নয়। খোঁজ নিয়ে দেখছি। এটিএমে তো সব সময়ই টাকা থাকার কথা। এমন সমস্যা যাতে না- হয় সেই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযোগ, যে সব এটিএমে টাকা মেলে, সেই সব এটিএমেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আবার বড় নোট থাকে। হয় দু’হাজার, নয় তো পাঁচশো। একশোর নোটের বড় আকাল! মেদিনীপুরের সঙ্গীতা পালের কথায়, “শহরের বেশির ভাগ এটিএমে প্রায়শই শুধু বড় নোট থাকে। ছোট নোট থাকে না। কখনও কখনও পাঁচশো টাকাও তোলা যায় না। দু’হাজার টাকা তুলতে চাইলে তখনই তোলা যায়।” নোটবন্দির পরপর এমন সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু এখনও মেটেনি সে সমস্যা। মেদিনীপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মলয় রায়ের কথায়, “মেদিনীপুরে ছোট নোটের সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে একশো টাকার নোটের। অনেকে এসে দোকানে দু’হাজার নোট ধরিয়ে দেন। দোকানদারের কাছে ভাঙানি থাকলে তবেই তো দেবে? না- থাকলে কী করে দেবে? আসলে সবাই যেন আতান্তরে।” জেলার এক ব্যাঙ্ককর্তার সাফাই, “আসলে যখন যেমন নোটের জোগান থাকে, এটিএমগুলোয় তখন তেমন নোট রাখা হয়। এখন দু’হাজার টাকার নোটের জোগান বেশি। তাই বেশির ভাগ এটিএমে দু’হাজার টাকার নোট থাকে। তবে পাঁচশো, একশো টাকার নোটের জোগান রয়েছে। এই নোটও এটিএমে থাকার কথা।”
মেদিনীপুরে প্রায় পঞ্চাশটি এটিএম রয়েছে। কিন্তু টাকা তুলতে হলে বেশ কিছুটা সময় হাতে নিয়ে বেরোচ্ছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy