ট্যারান্টুলার কামড় থেকে বাঁচতে কী কী করণীয়, তা জানানো হবে প্রচারে।
একের পর এক এলাকায় খোঁজ মিলছে রোমশ মাকড়সার। ট্যারান্টুলার কামড় থেকে বাঁচতে কী করণীয়, তা না জানায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে অনেক এলাকায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ বার সচেতনতা প্রচার শুরু হবে জেলায়। মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “সচেতনতা প্রচারে পরিকল্পনা হচ্ছে।” বন দফতর সূত্রে খবর, ট্যারান্টুলার কামড় থেকে বাঁচতে কী কী করণীয়, প্রচারে তা জানানো হবে। বিভিন্ন এলাকায় এই প্রচার চলবে। হঠাৎ করে পশ্চিম মেদিনীপুরে এত ট্যারান্টুলার খোঁজ মিলছে কেন? ডিএফও রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “এ বারই যে প্রথম খোঁজ মিলছে তা নয়। গত তিন বছর ধরেই কিছু এলাকায় খোঁজ মিলছে। কেন মিলছে তা এককথায় বলা মুশকিল।”
শুক্রবার রাতে শালবনিতে ট্যারান্টুলার খোঁজ মেলে। এর আগে মেদিনীপুর, বেলদা, ডেবরা-সহ জেলার একের পর এক এলাকায় এই বিষাক্ত মাকড়সার খোঁজ মিলেছে। এর ফলে জেলায় আতঙ্কও ছড়াচ্ছে।
বন দফতর সূত্রে খবর, নোংরা জায়গায় এই মাকড়সা বাসা বাধে। স্যাঁতসেতে জায়গায় বেশি থাকে। মেদিনীপুরের এক বনকর্তা বলেন, “বাড়ির কাছে আবর্জনা, জঞ্জাল, মজা পুকুর থাকলে তা পরিষ্কার রাখতে হবে। এ সব জায়গাতেই বাসা বাঁধে ট্যারান্টুলা।” তাঁর কথায়, “ছাদে বাগান থাকলে পরিষ্কার রাখতে হবে। জঞ্জাল জমতে দেওয়া যাবে না।” ট্যারান্টুলা থেকে বাঁচতে আগাম সতর্কতা হিসেবে প্রাথমিক ভাবে কী করণীয়? মেদিনীপুরের ওই বনকর্তা বলেন, “কেরোসিন তেল মজুত রাখতে হবে। ট্যারান্টুলা দেখলে কেরোসিন তেল স্প্রে করে দিতে হবে। এই মাকড়সা সাধারণত শরীরের নরম জায়গায় কামড়ায়। মশারি টাঙিয়ে ঘুমতে হবে। অনেকের মশারি টাঙিয়ে ঘুমনোর অভ্যাস নেই। এটা ঠিক নয়। মশারি টাঙিয়ে না ঘুমলে বিপদ হতে পারে।”
বন দফতরের এক সূত্রে খবর, ট্যারান্টুলার ওজন প্রায় ৮০ থেকে ১৫০ গ্রাম হয়। লম্বায় ৮-১০ সেন্টিমিটার হয়। মেদিনীপুরের ওই বনকর্তা বলেন, “জলের ধারের নরম মাটিই এই বিষাক্ত মাকড়সার পছন্দের বাসস্থান। শরীর এবং পা লোমে ঢাকা থাকে। উঁচু বাড়ির ছাদেও অনায়াসে উঠে পড়তে পারে। ফলে, সতর্ক থাকতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy