প্রতীকী ছবি।
গত বছর লোকসভা নির্বাচনের পর দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে জেলায় জেলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেছিল বিজেপি। চলতি বছরেও সেই অভিযান অব্যাহত। তবে সদস্য সংগ্রহ অভিযানের পরে দলের সাংগঠনিক কাজে এই সব সদস্যরা কতটা সক্রিয় তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে দলের অন্দরেই। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক শক্তি হাতেকলমে যাচাই করতে স্থানীয় স্তরে বৈঠক শুরু করেছে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব।
দলের বুথ স্তরের স্থানীয় নেতৃত্ব ও দলীয় সদস্যদের নিয়ে এই বৈঠক হচ্ছে। দলীয় সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত সমিতির আসন ভিত্তিক তমলুক সাংগঠনিক জেলায় ৪৯০টি শক্তিকেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি শক্তিকেন্দ্রে ৪ থেকে ৭টি পর্যন্ত বুথ রয়েছে। শক্তিকেন্দ্র ভিত্তিক বৈঠকে দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট এলাকার মণ্ডল সভাপতি পদাধিকারীরা উপস্থিত থাকছেন। বৈঠকে শক্তিকেন্দ্রের অন্তর্গত সংশ্লিষ্ট বুথগুলির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বৈঠকে বুথ কমিটির সদস্যদের তালিকা ধরে তাঁদের উপস্থিতি যাচাই করা হচ্ছে। কেউ অনুপস্থিত থাকলে কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটে জেলার তমলুক ও কাঁথি দুই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জিতলেও প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। এছাড়াও মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে থাকা জেলার এগরা বিধানসভা এলাকা এবং ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে থাকা পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে এগিয়ে বিজেপি। আসন্ন বিধানসভা ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখে জেলার ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রেই সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের পরে দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে তমলুক সাংগঠনিক জেলায় দলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় প্রায় ৫ লক্ষ। এ বছর ফের অভিযানে আরও প্রায় আড়াই লক্ষ নতুন সদস্য এসেছে বলে দাবি জেলা নেতৃত্বের। নতুন সদস্যরা দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন কিনা বৈঠকে তা খতিয়ে দেখছেন জেলা নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সভাপতি (তমলুক) নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘দলের স্থানীয় নেতৃত্বের কাজকর্ম এবং দলের নতুন সদস্যদের ভূমিকা যাচাইয়ের পাশাপাশি শক্তিকেন্দ্র স্তরে সংগঠন কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে তাও দেখা হচ্ছে। কোথাও ঘাটতি রয়েছে কিনা তাও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এতে ভাল সাড়া মিলেছে।’’
বিজেপির এক জেলা নেতার কথায়, ‘‘পুজোর ছুটির পরেই ফের প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মসূচি হবে। বিধানসভা ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখে তার আগে সংগঠনের শক্তি যাচাই ও দলের সদস্যদের সক্রিয় করতেই শক্তিকেন্দ্র স্তরে পর্যালোচনা বৈঠক করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy