প্রতীকী ছবি।
মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে, এই অভিযোগে এক কিশোরকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল মেয়ের বাবার বিরুদ্ধে। পরে ওই কিশোরের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত কিশোরের বাবা মেয়ের বাবার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছেন। কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের ঘোড়াঘাটায় সোমবার প্রদীপ মাইতি (১৬) নামে ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপ একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা নাড়ুগোপাল মাইতির অভিযোগ, মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এই অভিযোগে বাহারছনবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা দেবু জানা রবিবার সন্ধ্যায় ভাড়াটে লোকজন দিয়ে মোটর সাইকেলে তাঁর ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। দেবু ভেড়ির মালিক। শুনিয়ায় তার মাছের ভেড়ি রয়েছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে নাড়ুগোপালবাবু শুনিয়ায় ওই ভেড়িতে যান। তাঁর দাবি, সেখানে তিনি দেখেন প্রদীপকে মারধর করা হচ্ছে। কেন তাঁর ছেলেকে মারা হচ্ছে জানতে চাইলে বলা হয়, প্রদীপ একটি মেয়েকে জ্বালাতন করে। তাই তাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। নাড়ুগোপালবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমি কোনওরকমে ছেলেকে ওদের কবল থেকে ছাড়িয়ে তাকে বাড়ি চলে যেতে বলে গ্রামে ফিরে আসি। প্রতিবেশীদের কয়েক জনকে সমস্ত ঘটনা জানাই।’’ কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন ছেলেকে ফের ধরেছে দেবুর লোকজন। তাদের একজনকে তিনি ফোন করলে সে বলে প্রদীপকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাতভর ছেলে না ফেরায় তিনি খোঁজখবর শুরু করেন। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি গাছে প্রদীপের ঝুলন্ত দেহ দেখেন গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় কাঁথি থানায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়।
মঙ্গলবার নাড়ুগোপালবাবু ছেলেকে মারধর ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন দেবুর বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে পুলিশ মারধরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে। তিন জনই দেবুর ঘনিষ্ঠ বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর দেবু পলাতক। ধৃত মুকুল মাইতি, শান্তনু বর ও বিশ্বপ্রতাপ পয়ড়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঘটনার পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের গল্প রয়েছে।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy