জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
তিনি আরও পড়তে চান। অথচ, পরিজনেরা তাঁর অমতে বিয়ের তোড়জোর শুরু করেছেন। খোদ জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের কাছে এই নালিশ জানালেন এক কলেজ ছাত্রী। সব শুনে ওই ছাত্রীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতীদেবী।
মেদিনীপুরে রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা কলেজে (গোপ কলেজ) নারী দিবস উদ্যাপনের অনুষ্ঠান ছিল বৃহস্পতিবার। ওই দিন দুপুরে কলেজে এসেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। কলেজের এক সভাঘরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে পুলিশ সুপারকে সংবর্ধিত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষা জয়শ্রী লাহা।
সভাঘর তখন ছাত্রীদের ভিড়ে ঠাসা। সেই ভিড় থেকে উঠেই কলেজের ওই ছাত্রী পুলিশ সুপারের কাছে নালিশ করেন, বাড়ির লোকজন তাঁর অমতে বিয়ের বন্দোবস্ত করছে। ছাত্রীর নালিশ শুনে কিছুক্ষণের জন্য চুপ হয়ে যায় পুরো সভাঘর।
কলেজের এক শিক্ষিকা বলছিলেন, “এই অনুষ্ঠানে অনেক ছাত্রী ছিল। কলেজের শিক্ষিকারা ছিলেন। সেখানে উঠে দাঁড়িয়ে পুলিশ সুপারের কাছে নিজের সমস্যার কথা বলাটা রীতিমতো সাহসের। ওই ছাত্রী সেই সাহস দেখিয়েছে। এটা বড় ব্যাপার। অনেকেই তো অন্যরা কী ভাববে ভেবে নিজের সমস্যার কথা জানায় না।”
মেদিনীপুরের এই ছাত্রীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে ওই অনুষ্ঠানেই নিজের মোবাইল নম্বর জানিয়ে দেন ভারতীদেবী। সংবর্ধনার মঞ্চেই তিনি বলেন, “আমার মোবাইল নম্বর দিয়ে গেলাম। কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করো। পুলিশ সব সময়ে তোমাদের পাশে থাকবে।”
পুলিশ সুপারের কাছে যিনি নালিশ করেছেন, সেই ছাত্রী বলছিলেন, “কলেজে পুলিশ সুপার এসেছিলেন। বাধ্য হয়েই ওঁর কাছে নিজের সমস্যার কথা জানিয়েছি। আমি আরও পড়াশোনা করতে চাই। এখনই বিয়ে করব না। পরিজনেরা বিয়ের বন্দোবস্ত করছেন। খোদ জেলার পুলিশ সুপার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এখন আমি অনেকটাই নিশ্চিন্ত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy