Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
ডেবরা

ইন্দিরা আবাসের টাকা বিলিতে অনিয়মের নালিশ

ইন্দিরা আবাসের টাকা বণ্টন নিয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হল গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার দুপুরে খড়্গপুরের মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের রিসিভিং সেকশনে অভিযোগপত্র জমা দেন ডেবরা ব্লকের জলিবান্দা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চণ্ডীপুর, মলিহাটি ও পাকুইয়ের গ্রামবাসী। তাঁদের অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েত এলাকায় ইন্দিরা আবাসের টাকা বণ্টনের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হচ্ছে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৫ ০১:২৭
Share: Save:

ইন্দিরা আবাসের টাকা বণ্টন নিয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হল গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার দুপুরে খড়্গপুরের মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের রিসিভিং সেকশনে অভিযোগপত্র জমা দেন ডেবরা ব্লকের জলিবান্দা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চণ্ডীপুর, মলিহাটি ও পাকুইয়ের গ্রামবাসী। তাঁদের অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েত এলাকায় ইন্দিরা আবাসের টাকা বণ্টনের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে প্রধান নিজের ইচ্ছা মতো ব্যক্তিদের ওই প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। এ দিনের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ওই পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য সৈয়দ রফিউল হুসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত জলিবান্দা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিপিএল তালিকায় প্রায় হাজার দু’য়েক পরিবারের নাম রয়েছে। বিপিএল তালিকাভুক্ত প্রত্যেক পরিবারের ক্রমাঙ্ক (স্কোর)-এর ভিত্তিতে ইন্দিরা আবাস যোজনার প্রাপকের তালিকা তৈরি করা হয়। তালিকায় কম থেকে বেশি (নিম্ন ক্রমাঙ্ক) স্কোর অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে প্রাপকের নামে ইন্দিরা আবাসের অর্থ বরাদ্দ করা হয়। এ বার ওই পঞ্চায়েত এলাকার ১৯৪ জনের নামে ইন্দিরা আবাসের টাকা বরাদ্দ হয়। দিন পনেরো আগে এই টাকা বিলি নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে নিয়ম অনুযায়ী প্রাপকের নাম বাছাই করা হয় বলে পঞ্চায়েত সূত্রে দাবি। তবে গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান সেই নিয়ম না মেনে তালিকা থেকে নিজের ইচ্ছা মতো ব্যক্তিদের ওই প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছেন।

পঞ্চায়েত সদস্য সৈয়দ রফিউল হুসেনের অভিযোগ, “ওই পঞ্চায়েতে ইন্দিরা আবাসের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হচ্ছে না। নতুন করে তালিকা তৈরি করে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান টাকা বিলি করছেন। প্রধান টাকার বিনিময়েই এ সব করছেন বলে তিনি শুনেছেন। তাই বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।” এর আগে ওই ঘটনার কথা বিডিওকেও জানানো হয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীর। বিডিও জয়ন্ত দাস বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলা হয়েছে নিম্ন ক্রমাঙ্কের ভিত্তিতে প্রাপকদের টাকা দেওয়া হবে। যতটুকু জানি সেই প্রক্রিয়া মেনেই টাকা দেওয়া হচ্ছে।” বিডিওর এই জবাবে আশ্বস্ত না হওয়ায় মহকুমাশাসকের কাছে গিয়ে ফের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শেখ আনোয়ার হুসেন, সাবিত্রী হেমব্রমরা। মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখব।” যদিও চেষ্টা করেও ফোনে অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান সুদর্শন মাজির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE