কাছাকাছি: সবংয়ে কর্মিসভার মঞ্চে বিধায়ক ও সাংসদ। নিজস্ব চিত্র
২০১৪-র ২৫ এপ্রিল। লোকসভা ভোটের প্রচারে ডেবরায় এসে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা দেব বলেছিলেন, “দেশের লোকেরা রাজনীতিকে নোংরা চোখে দেখে। তাই আমাদের মতো অরাজনৈতিক লোকেদের তাই রাজনীতিতে আসা উচিত।” সে দিন ডেবরারই আর এক প্রান্তে রোড-শো ছিল দেবের প্রতিপক্ষ, সেই ভোটে ঘাটালের কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়া। মানসবাবু সে দিন বলেছিলেন, “উনি তো রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী। রাজনীতি যদি নোংরা মনে হয় তবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।”
তিন বছর পরে দেব-মানস এখন এক দলে। দেবের সাংসদ এলাকা ঘাটালের মধ্যেই পড়ে মানসবাবুর বিধানসভা কেন্দ্র সবং। শুক্রবার সেই সবংয়ের মাটিতেই এক মঞ্চে দেখা গেল সাংসদ ও বিধায়ককে। সবংয়ের হাইস্কুল ময়দানে তৃণমূলের কর্মিসভায় দেবের প্রশংসা করে মানসবাবু বললেন, “বাংলার মুখ যে উজ্বল করেছে তাঁর নাম দেব। আমাদের প্রিয় ভাই, নায়ক, নেত্রীর প্রিয়, বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় সাংসদ। আমি বলছি, ২০১৯সালের লোকসভা নির্বাচনে দেব এক লক্ষ ভোটের ব্যবধানে সবং থেকে জয়ী হবেন।”
এক ঝাঁক অনুগামী-সহ মানসবাবুর দলবদলের পরে সবংয়ে পুরনো ও নতুন তৃণমূল কর্মীদের বিরোধ বেড়েছে। এ দিন মানসবাবুর বার্তা, “আমাদের মা যদি এক হয়, মতাদর্শ, পতাকা, প্রতীক যদি এক হয় তবে সন্তানদের মধ্যে বিভেদ থাকবে কেন? তাই বলছি এক সঙ্গে চলুন।”
ঐক্যের সুর দেবের গলাতেও। অভিনেতা-সাংসদ বলেন, “রাজনীতি নিয়ে একটি কথাও বলতে পারব না। শুধু এটুকুই বলব, আমাদের একসঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের নেত্রীও তাই চান। নিজেদের মধ্যে কোনও ঝুটঝামেলা রাখলে চলবে না।’’ দেবের কথায়, ‘‘এখানে দু’টি দল এক হয়েছে। মানুষ যেন বুঝতে পারে তাঁদের উন্নয়নের জন্য দু’টি দল এক হয়েছে। আমার নিবেদন আপনারা এক হয়ে উন্নয়নের কাজ করুন।” এ দিন মঞ্চে ছিলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কর্মিসভা সেরে ডেবরার গ্রামীণ মেলা ও উৎসবের সূচনা করেন দেব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy