নিদর্শন: ডায়েরিতে সারা-দেবকুমারের নাম। ছবি: আরিফ ইকবাল খান
রাতারাতি খবরের শিরোনামে মহিষাদলের নাটশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্দুলিয়া। গ্রামের তস্য গলির মধ্যে অসমাপ্ত পাকা বাড়ির ছোট ছেলে দেবকুমার মাইতিই আকর্ষণের কেন্দ্রে। খোদ ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ সচিন তেন্ডুলকরের মেয়ে সারাকে বিয়ে করতে চেয়ে সচিনকেই ফোন করেছিলেন বছর বত্রিশের এই যুবক। অভিযোগ পেয়ে শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
দেবকুমার যে সচিন ভক্ত সে কথা পাড়া-পড়শিরা জানেন। সারাকে নিয়ে পাগলামির কথা জানেন পরিজনেরাও। তাঁরা এ-ও জানিয়েছেন, দীর্ঘ ৮ বছর দেবকুমারের মনোরোগের চিকিৎসা চলছিল। রবিবার দেবকুমারের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, নানা জায়গায় সচিন-কন্যা সারার নাম। তাঁর বাইকের হেডলাইটেও লেখা ‘সারা ও দেব’। দেবকুমারের মা কনকলতাদেবী জানালেন, তাঁদের পরিবারের সবাই সচিন ভক্ত। তাঁর এই ছোট ছেলে কোনও দিন ক্রিকেট ব্যাটে হাত না দিলেও সচিনকে অন্ধভাবে ভালবাসত। ঘরময় ছিল সচিনের ছবি। সাইনবোর্ডে লেখা-আঁকার কাজ করা দেবকুমারের মাথায় সারাকে বিয়ের ভূত চাপে বছর দুয়েক আগে। মা-দাদা অনেক বোঝালেও লাভ হয়নি। গ্রেফতারের পরে পুলিশকেও ওই যুবক জানিয়েছেন, তিনি সত্যি সারাকে ভালবাসেন। মুম্বই পুলিশ ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যাওয়ার সময়ও নির্লিপ্ত ছিলেন দেবকুমার। তাঁর জামাইবাবু ব্যোমকেশ প্রামানিক বলেন, ‘‘সচিন স্যারের সঙ্গে, সারার সঙ্গে দেখা হতে পারে ভাবছে ও। এখনও ঘোরের মধ্যে রয়েছে।’’
এক সময় গেঁওখালি স্কুলের ছাত্র দেবকুমার উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোতে পারেননি। প্রতিবেশীরা জানালেন, লাজুক ছেলেটি এই কাজ করবে ভাবতেই পারেন না তাঁরা। নাটশাল ১ পঞ্চায়েতের সদস্য মনীষা দাসও বলেন , ‘‘শুনেছি ছেলেটার মাথায় গোলমাল আছে। তাই চাই সচিন স্যার ওঁকে ক্ষমা করে দিন।’’ প্রতিবেশী প্রতিমা বেইজেরও বক্তব্য, ‘‘ও ভুল করে ফেলেছে। ওকে ক্ষমা করে দিন সচিন।’’
পরিবারের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরেই দেবকুমারের মানসিক রোগের চিকিৎসা চলছে। মায়ের আশা, সব জেনে সচিন তাঁর ছেলের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy