Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Drunkards

চোলাই ঠেক থেকে ঝাঁপ সোজা নদীতে

লকডাউন কার্যকর করতে শুক্রবার জেলা জুড়ে পুলিশি অভিযান চলেছে। বিধি ভাঙায় এ দিন সব মিলিয়ে ২৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় জেলা পুলিশ।

পুলিশের তাড়া খেয়ে কংসাবতীতে নামছেন কয়েকজন যুবক (বাঁ দিকে),  তারপর তাঁরা ভেসে থাকলেন জলে। মেদিনীপুর শহরের নফরগঞ্জে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

পুলিশের তাড়া খেয়ে কংসাবতীতে নামছেন কয়েকজন যুবক (বাঁ দিকে),  তারপর তাঁরা ভেসে থাকলেন জলে। মেদিনীপুর শহরের নফরগঞ্জে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৫৮
Share: Save:

চলছে লকডাউন। তবে চোলাইয়ের ঠেক হোক বা চায়ের দোকান—আড্ডা চলছেই। নিয়ম না মানার ছবিটা বদলাল না শুক্রবারের লকডাউনেও।

লকডাউন কার্যকর করতে শুক্রবার জেলা জুড়ে পুলিশি অভিযান চলেছে। বিধি ভাঙায় এ দিন সব মিলিয়ে ২৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় জেলা পুলিশ। এরমধ্যে মেদিনীপুরে ৪ জন, গুড়গুড়িপালে ১৭ জন, কেশপুরে ৪ জন আছেন। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত খড়্গপুর শহর থেকে ধরা হয়েছে ৮৫ জনকে। তাঁদের মধ্যে ৫৩ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি লকডাউন ভাঙার অভিযোগ আছে। বাকিদের ধরা হয়েছে লকডাউন ভাঙার চেষ্টার অভিযোগে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘লকডাউন ভাঙায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

এ দিন শহরের বোগদা সংলগ্ন এলাকায় অভিযানের সময়ে বেশ কয়েকজন রেলের টিকিট পরীক্ষককে গ্রেফতার হয়। তাঁরা একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ট্রাফিক ময়দানে অভিযান চালিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরোনো বেশ কয়েকজনকে ধরে পুলিশ। অদূরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মদের ঠেক থেকে গ্রেফতার করা হয়ে কয়েকজনকে। ওই চত্বরেই খোলা থাকা বেশ কয়েকটি দোকানের মালিককেও ধরা হয়। এ দিনও মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় ঘুরেছেন অনেকে। মাস্ক ছাড়া পথে বেরোনো কয়েকজনকে জামা খুলে মুখে বাঁধতে বলা হয়। শহরের হাতিগলা পুল সংলগ্ন এলাকার সাউথ ইন্দায় ঢোকার রাস্তায় বেশ কয়েকটি দোকান খোলা ছিল। সেখানেও ধরপাকড় চালায় পুলিশ। এ দিন ঘাটাল মহকুমাতেও পুলিশের ভূমিকা ছিল কড়া। সেখানে লকডাউন ভাঙায় জনকে ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

লকডাউনের মধ্যে চোলাইয়ের ঠেক চলছিল মেদিনীপুর শহরের নজরগঞ্জে। সেখানে ছিলেন ৩০-৪০ জন যুবক। খবর পেয়ে অভিযানে যায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশের তাড়া খেয়ে কংসাবতী নদীতে ঝাঁপ দেন অনেকে। হাতেনাতে ধরা পড়েন ৪ জন।

লকডাউনের মধ্যেই চন্দ্রকোনা রোডের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের অলিগলিতে পুলিশের নজর এড়িয়ে জঙ্গলের ছাতু ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায় এ দিন। স্থানীয় ভাবে ওই ছাতু কাড়াং ছাতু নামে পরিচিত। গোয়ালতোড়, শালবনি ব্লক এলাকা থেকে অনেকেই কয়েকদিন ধরে জঙ্গল থেকে ওই ছাতু তুলে এনে বিক্রি করতে আসছেন চন্দ্রকোনা রোড এলাকায়। এ দিন ছাতার মতো দেখতে ছাতা ছাতু ও শিকের মতো দেখতে শিক ছাতু বেশি বিক্রি হয়েছে। ছাতা ছাতুর কিলো ৩০০-৩৫০ টাকা হলেও, শিক ছাতু বিক্রি হয় ৪০০ টাকা কেজি দরে। অনেকের অভিযোগ, লকডাউনে সুযোগ বুঝে দাম বেশি নেওয়া হয়েছে। এই ছাতু নিয়ে এ দিন চন্দ্রকোনা রোডে ফড়েদের দৌরাত্ম্যও দেখা গিয়েছে। জঙ্গলের এই ছাতু বিক্রি করতে আসা গ্রামের মানুষদের কাছ থেকে চুক্তি করে কম দামে কিনে নিয়ে একশ্রেণির ফড়ে তা বেশি দামে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Drunkards Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE