প্রতীকী ছবি।
বুথে এ বার পাঠশালা! সেখানে মিলবে ভোট সচেতনতার পাঠ।
একজন ভোটারও যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে না থাকেন, সে জন্য ‘চুনাও পাঠশা ’ নামে এই উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই কর্মসূচির জন্য ইতিমধ্যে চারটি দিন নির্দিষ্ট হয়েছে। ৯ ও ২৩ সেপ্টেম্বর এবং ৬ ও ২৮ অক্টোবর বুথে বুথে ‘চুনাও পাঠশালা’ হবে। জেলার ওসি (ইলেকশন) দীপ ভাদুড়ি বলেন, ‘‘নির্বাচনী সচেতনতার কাজ করবে এই পাঠশালা।’’
শনিবারই প্রকাশিত হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকা। ভোটারদের আর্জি মেনে পশ্চিম মেদিনীপুরে একলাফে ৩৪টি বুথ বেড়েছে। আর ভোটার কমেছে ১৪,১৫৬জন। তবে জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রণব বিশ্বাস বলেন, “ভোটার সামান্যই কমেছে, খুব বেশি নয়।’’ শনিবার থেকে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজও শুরু হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর— দু’মাস ধরে এই কাজ চলবে। সংশোধনের কাজে প্রতিবন্ধী স্কুল, বৃদ্ধাশ্রমেও পৌঁছবে জেলার দল। বিশেষ প্রচার কর্মসূচিও হবে। স্কুল- কলেজেও সচেতনতা কর্মসূচি হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক পি মোহনগাঁধী বলেন, “ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় কয়েকটি দিকে নজর রাখা হয়। এ বারও তা হবে। তালিকা নির্ভুল করার সব রকম চেষ্টা হবে।’’
নিবার্চনী সচেতনতায় অভিনব পদক্ষেপ এ বার ‘চুনাও পাঠশালা’। নির্বাচন দফতর সূত্রে খবর, এই পাঠশালার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন এলাকার নবীন-প্রবীণ ভোটাররা। কনভেনর হবেন বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার)।
নির্বাচনী সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি হবে এখানে। তাতে গ্রামের মানুষও শামিল হবেন। পাঠশালায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কিত নানা তথ্যে ঠাসা সহায়ক পুস্তিকাও থাকবে। পাঠশালায় ভোটাররা নানা প্রশ্নের উত্তরও পাবেন। যেমন ইভিএম নিয়ে কোনও জিজ্ঞাসা থাকলে জানতে চাওয়া যাবে। পুস্তিকার বিভিন্ন তথ্য দিয়ে বোঝানো হবে, ইভিএমে কারচুপি অসম্ভব। ইভিএম বিশ্বাসযোগ্য, নির্ভরযোগ্য।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সব ভোটারের অংশগ্রহণ চাইছে নির্বাচন কমিশন। সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচিও হয়। বুথে পাঠশালা খোলার ভাবনাটা নতুন।’’ ভোট সচেতনতায় এই ‘চুনাও পাঠশালা’ কতটা সাড়া ফেলে, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy