আজ, বুধবার লালগড় বিডিও অফিসে ব্লকের ক্ষতিগ্রস্ত ধান চাষিদের আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। বেলা ১২ টার মধ্যে ধান বিক্রির রসিদ ও ব্যাঙ্কের পাস বইয়ের জেরক্স সহ বিডিও-র কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। মঙ্গলবার লালগড় ব্লকের দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ধান চাষিদের মাইক-প্রচার করে এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লালগড়ের বিডিও জ্যোতিন্দ্রনাথ বৈরাগী বলেন, “রসিদ ও ব্যাঙ্কের পাসবইয়ের প্রতিলিপি-সহ চাষিদের আবেদনপত্র গুলি পাওয়ার পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে
পাঠিয়ে দেব।”
গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে লালগড়ের বামাল, কাঁটাপাহাড়ির মতো একাধিক জায়গায় শিবির করে সরকারি সহায়ক দামে ধান কেনা হয়েছিল। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগমের সহযোগিতায় গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের দু’টি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত পার্চেজ ম্যানেজার প্রশান্ত খান চাষিদের কাছ ৮৫৯ মেট্রিক টন ধান কিনেছিলেন বলে অভিযোগ। বেশির ভাগ ধানটাই ধারে কেনা হয়েছিল। দাম না পেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন চাষিরা। অভিযোগের ভিত্তিতে পৃথক ভাবে তদন্ত শুরু করে জেলা খাদ্য দফতর ও সমবায় দফতর।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগমের জেলার এক কর্তা লালগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে প্রশান্তবাবুকে ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে প্রশান্তবাবু এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ধান বিক্রি বাবদ বকেয়া টাকার দাবিতে সোমবার লালগড় বিডিও অফিসে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল করেন চাষিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy