প্রতীকী ছবি।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড-সহ মোট এগারোটি সরকারি প্রকল্প নিয়ে আগামীকাল, পয়সা ডিসেম্বর থেকে জেলায় চালু হচ্ছে শাসক দলের কর্মসূচি ‘দুয়ারে সরকার’। মোট চারটি ধাপে শেষ হবে এই কর্মসূচি। আগে আবেদন করা ১০ শতাংশ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এখনও বকেয়া রয়েছে জেলায়। নতুন আবেদনের ভিত্তিতে দ্রুত কার্ড তৈরি করাই এখনও চ্যালেঞ্জ জেলা প্রশাসনের কাছে।
মাস ছয়েকের মধ্যেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের আগে আমজনতার মন কাড়তে গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেন ‘দুয়ারে সরকার’ নামে বিশেষ প্রকল্প। ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিটি ব্লকে ক্যাম্প করে রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সহায়তা। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, কৃষক বন্ধু, একশো দিনের কাজের মতো এগারোটি সরকারি প্রকল্প নিয়ে জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শিবির হবে। যাঁরা সরকারি সহায়তা পাওয়ার যোগ্য অথচ পাননি, মূলত তাঁদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের একশো শতাংশ মানুষকেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাওয়ার জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির মাধ্যমে আম জনতা আবেদন জানাতে পারবেন বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় স্বভাবতই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আবেদন নিয়ে উৎসাহ তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাওয়ার জন্য জেলায় যে পরিমাণ আবেদন জমা পড়েছিল তার ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এখনও বাকি রয়েছে ১০ শতাংশ কাজ। নতুন করে জেলার একশো শতাংশ পরিবারের আবেদন জমা পড়লে সেই বিশাল চাপ কী ভাবে সামলাবে জেলা প্রশাসন?
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির শিবির হবে। শিবিরে থাকবেন ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মচারীরা। সেখানে বিভিন্ন প্রকল্পের আবেদনপত্র, ইন্টারনেট সংযোগ ইত্যাদি থাকবে। ভিড় সামলাতে পুলিশের সাহায্য চেয়েছে জেলা প্রশাসন। চারটি ধাপে জেলায় অনুষ্ঠিত হবে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, ‘‘মঙ্গলবার থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে জেলায়। কর্মসূচি সঠিক ভাবে পালনের জন্য আমাদের হাতে পর্যাপ্ত কর্মচারী রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আবেদন অনুযায়ী মানুষের হাতে সরকারি প্রকল্পের সহায়তা তুলে দেওয়া হবে। আগে আবেদন করা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কিছু কাজ বাকি আছে। আমরা দ্রুত সেগুলি শেষ করব। নতুন আবেদনের ক্ষেত্রেও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy