বিজেপির কর্মিসভায় গোলমাল, প্রকাশ্যে এল দলের ভিতরের কোন্দল। শনিবার ঘাটাল শহরের টাউন হলে ওই কর্মিসভার আয়োজন করেছিল জেলা বিজেপি। সেখানে দলের পুরনো কর্মীদের কেন ডাকা হয়নি তা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন একাংশের কর্মী। তাঁদের দাবি, সদ্য তৈরি হওয়া দলের ঘাটাল মণ্ডল কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি তৈরি করতে হবে।
সভা চলাকালীনই বিক্ষোভ দেখাতে ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। রাজ্য ও জেলা স্তরের নেতাদের ঘিরে প্রায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি আটকে রেখেও চলে বিক্ষোভ। সে সময় নেতা অবশ্য গাড়িতে ছিলেন না। দু’পক্ষের মধ্যে হাল্কা ধস্তাধস্তিও হয় বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছয় ঘাটাল থানার পুলিশ। পরে জেলা সভাপতি ধীমান কোলের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতেই ওই সভার আয়োজন করে বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি ধীমান কোলে, বিকাশ দে-সহ অন্য নেতৃত্ব। সভা চলাকালীন দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ হঠাৎই মিছিল করে সভাস্থলে হাজির হন বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা। ঘাটাল বিধানসভা কেন্দ্রের গতবারের প্রার্থী অঞ্জুশ্রী দোলই, দলের প্রাক্তন মহিলা নেত্রী মমতাশ্রী কর, দিলীপ ডাগুর, জেলা কমিটির সদস্য অসিত সাঁতরা-সহ অন্যরা নেতৃত্ব দেন সেই বিক্ষোভে।
তাঁদের বক্তব্য, “আমরা দলের পুরানো কর্মী। আমাদের গুরুত্ব না দিয়ে বাইরে থেকে আসা দুর্নীতিগ্রস্তদের নিয়ে কমিটি তৈরি হয়েছে। নতুন করে কমিটি তৈরি করতে হবে।” ঘাটাল শহরে পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে বিজেপির প্রথম কর্মিসভায় এমন কোন্দল দেখে থ সভায় আসা নীচুতলার কর্মীরা। গণ্ডগোলের খবর চাউর হতেই টাউন হলের সামনে ভিড় জমান শহরের সাধারণ মানুষও।
ধীমানবাবু বলেন, “তবে যাঁরা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করল, দলে তাঁদের আর কোনও স্থান নেই। বিষয়টি রাজ্য সভাপতিকেও জানানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy