এই সেই অ্যাপ। নিজস্ব চিত্র
অরণ্যশহরে বেড়ানোর যাবতীয় তথ্য ও অগ্রিম বুকিংয়ের ব্যবস্থা এ বার হাতের মুঠোয়। পর্যটন দফতর স্বীকৃত ‘ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম’ সংস্থার অ্যাপ আপাতত চালু হওয়ার অপেক্ষায়। যদিও গুগল প্লে স্টোরে থেকে অ্যাপটি মোবাইলে ‘ইনস্টল’ করা যাচ্ছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এই অ্যাপের মাধ্যমে পর্যটকেরা ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম সার্কিটের দর্শনীয় জায়গাগুলিতে বেড়ানোর জন্য অগ্রিম বুকিং করতে পারবেন।
শুধু ঝাড়গ্রাম জেলাই নয়, পার্শ্ববতী বাঁকুড়া জেলার মুকুটমণিপুর, ঝিলিমিলি এবং ওড়িশার বাংরিপোসি ও সিমলিপালের মতো জায়গাগুলিও বেড়ানোর অগ্রিম বুকিং করা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। কেন এমন উদ্যোগ? ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম-এর কর্তা সুমিত দত্ত বলছেন, ‘‘পর্যটকেরা সহজেই যাতে দর্শনীয় জায়গাগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন, প্যাকেজ বুকিং করতে পারেন সেই জন্যই এমন উদ্যোগ। ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং ওড়িশার দর্শনীয় জায়গাগুলিতে কী কী দেখার জায়গা রয়েছে, সে সম্পর্কে সচিত্র তথ্যের পাশাপাশি, ওই সব এলাকার শিল্প-সংস্কৃতি, লোকউৎসব, খাবার-দাবারের সঙ্গেও পরিচিত হতে পারবেন পর্যটকেরা। অতিথিশালা, ভাড়া গাড়ি ও গাইড অগ্রিম বুকিং করা যাবে।’’ অগ্রিম বুকিংয়ের ক্ষেত্রে অ্যাপের মাধ্যমে নানা ধরনের প্যাকেজও পাওয়া যাবে। দর্শনীয় জায়গাগুলির তথ্য, ছবি ও ভিডিয়ো গ্যালারিও থাকছে।
ঝাড়গ্রামে বেড়ানোর ক্ষেত্রে পর্যটকদের যাবতীয় পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই এই অ্যাপ চালুর ভাবনা। সংস্থার উদ্যোগে ইতিমধ্যে কলকাতার একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে দিয়ে অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সুমিতের দাবি, ওয়েবসাইটের তুলনায় অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত তথ্য জানা ও সহজেই অগ্রিম বুকিং করা যাবে। করোনা-কালে টানা লকডাউনে ক্ষতির মুখে পড়েছিল ঝাড়গ্রামের পর্যটন শিল্প। এখন ধীরে ধীরে পর্যটকেরা ভয় ভেঙে গত জুন থেকে ঝাড়গ্রামে বেড়াতে আসছেন। যেমন— অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু সম্প্রতি সপরিবারে ঝাড়গ্রামে বেড়িয়ে গিয়েছেন। এ ছাড়াও সড়কপথে পর্যটকেরা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঝাড়গ্রামে বেড়াতে আসছেন।
সুমিতের দাবি, ভিজিটাল মাধ্যমে ঝাড়গ্রামের পর্যটন তথ্য নির্ভর অ্যাপ চালু হলে আরও বহু পর্যটক এখানে আসবেন বলে তাঁরা আশা করছেন। সুমিতের দাবি, এই অ্যাপ চালু হলে সরকারি ও বেসরকারি অতিথিশালায় অগ্রিম বুকিং করা যাবে। বিশেষত বেসরকারি হোটেল, হোম স্টে-গুলি উপকৃত হবে। এ ছাড়া ভাড়ার গাড়ি, গাইড পেশার সঙ্গে যুক্তরাও উপকৃত হবেন। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ইন্ডিয়া ট্যুরিজম-কলকাতা’-এর আঞ্চলিক অধিকর্তা (পূর্ব) সাগ্নিক চৌধুরী বলেন, ‘‘অ্যাপ নির্ভর যুগে ঝাড়গ্রামের পর্যটন-কেন্দ্রিক এমন উদ্যোগের ফলে পর্যটকেরা উপকৃত হবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy