জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে আগেই নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা। এ বার পরিষদের স্থায়ী সমিতিতে জায়গা পেয়েছেন ‘কন্যাশ্রী’-রাও। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন, “কন্যাশ্রীর মেয়েরা স্কুল, কলেজের গন্ডি ছাড়িয়ে বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মে নিজেদের নিয়োজিত করেছে। স্থায়ী সমিতিতে যারা রয়েছে, তারাও মানুষের কাজ করবে। কাজের মধ্যে দিয়ে ওরা নিজেরাই নিজেদের প্রমাণ করবে। কন্যাশ্রী তো এখন বিশ্বশ্রী।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ৯টি স্থায়ী সমিতি গঠন হয়েছে বৃহস্পতিবারই। জেলা পরিষদে নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা ৫০। এক-একটি স্থায়ী সমিতিতে ৫ জন করে রয়েছেন। অনেকে আবার একাধিক সমিতিতে রয়েছেন। অর্থাৎ, নির্বাচিত সদস্যদের সকলে যে স্থায়ী সমিতিতে জায়গা পেয়েছেন এমন নয়। তবে ‘কন্যাশ্রী’-দের এই সমিতিতে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ বলে জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর।
জেলা পরিষদের সদস্যদের সিংহভাগই এ বার মহিলা। একাধিক জন আবার ‘কন্যাশ্রীও’। নতুন মুখেরা আসার ফলে জেলা পরিষদে কাজের গতি আসবে, মনে করছেন অনেকে। নতুনদের কাজ করার তাগিদ থাকবে। এরফলে এলাকার মানুষও উপকৃত হবেন। অজিতবাবু বলেন, “এ বার নতুন মুখের অনেকে জেলা পরিষদে এসেছেন। কন্যাশ্রীরাও এসেছে। এতে নিশ্চিত ভাবেই জেলা পরিষদের কাজে গতি আসবে।”
জেলা পরিষদে এ বার এমন তিন জন মেয়ে এসেছেন, যাঁদের বয়স পঁচিশের আশেপাশে। মমতা মুর্মু, রিঙ্কু রুইদাস, কণিকা মাণ্ডি। মেদিনীপুর সদর ব্লক থেকে নির্বাচিত মমতা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। চন্দ্রকোনা-২ থেকে নির্বাচিত রিঙ্কু ঘাটাল কলেজের ছাত্রী। ডেবরা থেকে নির্বাচিত কণিকা বছর তিনেক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করেছেন।
জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, কৃষি ও সেচ স্থায়ী সমিতিতে জায়গা পেয়েছেন মমতা মুর্মু। খাদ্য ও সরবরাহ স্থায়ী সমিতিতে জায়গা পেয়েছেন কণিকা মান্ডি এবং রিঙ্কু রুইদাস।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা যে পথ দেখিয়েছেন, সেই পথেই তিনি মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান মেদিনীপুরের মমতা মুর্মুরা। ‘কন্যাশ্রী’- রা কি পরবর্তী সময়ে আরও গুরুদায়িত্ব পেতে পারেন? জেলা তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, “এটা শুরু হল। আজ না হোক কাল, আরও দায়িত্ব নিশ্চয়ই পাবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy