Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ঝাঁঝ নেই শেষ প্রচারে

শনিবার ছিল খড়্গপুর সদর (শহর) বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের শেষদিন। তৃণমূল এবং বিজেপি দু’দলই এ দিনের প্রচারে ভরসা করেছিল মিছিলের উপর।

শেষবেলায়: বড়বাত্তি এলাকায় তৃণমূলের মিছিল। ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (উপরে)। ইন্দায় বিজেপির প্রচারে দলীয় প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝায়ের সঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষ (নীচে বাঁ দিকে),  খড়্গপুরের ট্র্যাফিক এলাকায় কংগ্রেস প্রার্থীর প্রচার। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

শেষবেলায়: বড়বাত্তি এলাকায় তৃণমূলের মিছিল। ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (উপরে)। ইন্দায় বিজেপির প্রচারে দলীয় প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝায়ের সঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষ (নীচে বাঁ দিকে), খড়্গপুরের ট্র্যাফিক এলাকায় কংগ্রেস প্রার্থীর প্রচার। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

শেষ দিনের প্রচার। দু’পক্ষের রথী-মহারথীরাও সে প্রচারে হাজির। মিছিলে দু’পক্ষেরই লোক হল ভালই। কিন্তু শেষবেলার ভোটযুদ্ধে দেখা গেল না বাকযুদ্ধ।

শনিবার ছিল খড়্গপুর সদর (শহর) বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের শেষদিন। তৃণমূল এবং বিজেপি দু’দলই এ দিনের প্রচারে ভরসা করেছিল মিছিলের উপর। হাজির ছিলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আর শেষ কয়েকদিন তো খড়্গপুরেই পড়ে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। স্বাভাবিক ভাবে ছিলেন তিনিও। প্রচার শুরুর প্রথম থেকেই শুভেন্দু, দিলীপের মধ্যে শুরু হয়েছিল সওয়াল-জবাব। এ দিন কিন্তু শুভেন্দু তেমন কোনও মন্তব্য করেননি। ঝাঁঝ ছিল না দিলীপের কথাতেও। যেটুকু চাপানউতোর হয়েছে তা ফিরহাদ ও দিলীপের মধ্যে। রফিকচকে পথসভায় দিলীপের নাম না করে ফিরহাদের কটাক্ষ, “অনেক দিন ধরে খড়্গপুর একজন পাগলকে সহ্য করেছে। কখনও বলে গরুর দুধে সোনা আছে। কখনও বলে এনআরসি করে সবাইকে তাড়িয়ে দেবে।” সাংবাদিকদের সামনে দিলীপ বলেন, “দিলীপ ঘোষ তো পাগল এটা ঠিক। না হলে আমাকে দেখে লোক পাগল হয় কেন? আমার মনে হয় নির্বাচনের আগেই ফল বেরিয়ে গিয়েছে।” ফিরহাদকে বলতে শোনা যায়, “দিলীপবাবু খড়্গপুরের উন্নয়নের চেষ্টা করেননি। উনি তো নেতা। ওঁর তো সমস্ত জায়গা ঘোরার কাজ। খড়্গপুর থেকে গরুর দুধ লুঠ করে চলে যাওয়া কাজ।” তাঁর পাল্টা দিলীপ বলেছেন, “খড়্গপুরের মানুষ জানে দিলীপ ঘোষ দুধ খায়, গো-ভক্ত, সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকে।”

তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলের মিছিলে দেখা গিয়েছে শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকার ভোটারদের। সকালে শহরের ইন্দার ইদগা ময়দান থেকে তৃণমূলের পদযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন ফিরহাদ। ওই পদযাত্রায় দেখা যায় কচিকাঁচাদের। তিনটি ওয়ার্ড ঘুরে পদযাত্রা শেষ হয় ভবানীপুরের রফিকচকে। শহরের বড়বাতি থেকে ইন্দা কমলাকেবিন পর্যন্ত তৃণমূলের প্রচার মিছিলে যোগ দেন শুভেন্দু। পরে তিনি ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি মহাদেবের মন্দিরে পুজো দিয়ে গোটা ওয়ার্ডে পদযাত্রা করেন। শুভেন্দু শুধু বলেন, “প্রদীপের সঙ্গে মহাদেব ছিল, থাকবে।” বিজেপি ইন্দা নিউটাউন থেকে গোলবাজার রামমন্দির পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করেছিল। সেখানে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ। পরে গোলবাজার কংগ্রেস কার্যালয় থেকে বাম-কংগ্রেসের জোটের পক্ষ থেকে এ দিন বাইক মিছিল হয়। পরে শহর ঘুরে পদযাত্রা পৌঁছয় মন্দিরতলা শ্মশানে। সেখানে দশবারের কংগ্রেস বিধায়ক প্রয়াত জ্ঞানসিংহ সোহন পাল, প্রয়াত সিপিআই সাংসদ নারায়ণ চৌবের সৌধে শ্রদ্ধা জানান কংগ্রেস প্রার্থী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE