গার্ড অব অর্নার দেওয়া হচ্ছে হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার এবং সৌমেন সেনকে। শনিবার তমলুকে। নিজস্ব চিত্র
ট্যাক্সিতে সপরিবার দিঘা বেড়াতে যাওয়ার পথে চণ্ডীপুরের কাছে দুর্ঘটনায় বাবা-মাকে হারিয়েছিলেন নন্দকুমার থানার কড়ক গ্রামের বাসিন্দা নবীন বেরা। সস্ত্রীক আহত হয়েছিলেন তিনি নিজেও।
চার বছর আগের ওই দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে তমলুক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নবীন। কিন্তু এতদিন সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। অবশেষে শনিবার তমলুকে লোক আদালতে ওই মামলা তো মিটলই, পাশাপাশি সাড়ে চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার নিশ্চয়তাও পেলেন নবীন।
শুধু নবীন নন, জেলা আদালতে এ দিন যে লোক আদালতের আসর বসেছিল, তাতে এক দিনেই প্রায় দু’হাজার মামলার নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে। এ দিন লোক আদালতের পর্যবেক্ষণে আসেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও সৌমেন সেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা আদালতের বিচারক ও আইনজীবী-সহ বিশিষ্টেরা। জেলা আদালতের বিভিন্ন কক্ষে লোক আদালতের ৬টি বেঞ্চে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ, ব্যাঙ্কের আনাদায়ী ঋণ শোধ-সহ বিভিন্ন মামলার শুনানি এবং নিষ্পত্তি হয়।
পেশায় দিনমজুর নবীন এ দিন বলেন, ‘‘দুর্ঘটনায় বাবা-মাকে হারিয়েছি। আমি এবং স্ত্রী আহত হয়েছি। মামলা করলেও ক্ষতিপূরণ পেতে দেরি হওয়ায় খুবই অসুবিধা হচ্ছিল। লোক আদালতে এসে এক মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার নিশ্চয়তা মিলেছে।’’
একই ভাবে লোক আদালতের বিচারকের নির্দেশে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়েছেন তমলুকের কুলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ মল্লিক। তিন বছর আগে সাড়ে তিন বছরের ছেলে সুহানকে সাইকেলে চাপিয়ে বাড়ির কাছেই নিমতৌড়ি বাজারে গিয়েছিলেন সুভাষ। ফেরার সময় লরির ধাক্কায় সুহান মারা যায়। দু’পায়ের আঙুল কাটিয়েছিল সুভাষের। লোক আদালত এ দিন বিমা সংস্থাকে তাঁকে দু’লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy