সিপিএমের প্রচার মিছিল। হলদিয়ার সিটি সেন্টারের কাছে। নিজস্ব চিত্র
ঢের বাকি লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু শিল্প শহরে ভোট প্রচারে ছুটির দিন ‘মিস’ করতে রাজি নয় যুযুধান তৃণমূল ও বামেরা। রবিবারের সকাল থেকেই শুরু হয়েছে দুই পক্ষের প্রচার। আর তাতে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকেই রাজনীতির পারদ চড়তে শুরু করল শিল্পাঞ্চল এলাকায়।
এদিন সকালে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী ইব্রাহিম আলি হলদিয়া পুরসভা এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। সাত সকালেই দলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও কর্মীদের নিয়ে হলদিয়া শহরে হাজির হয়েছিলেন পাঁশকুড়ার (পূর্ব) বিধায়ক তথা সিপিএমের লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী। এ দিন হলদিয়ার সিটি সেন্টার, ভবানীপুর, গাঁধী নগর, সুকান্তপল্লি-সহ বেশ কিছু এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার সারেন ইব্রাহিম।
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে হলদিয়া বিধানসভা সিপিএমের ‘দখলে’ এলেও, বন্দর আর শিল্প শহরে বামেদের প্রভাব ‘লেশমাত্র’ নেই। লোকসভা নির্বাচনের পালে হাওয়া দিতে বন্ধ কারখানাকে হাতিয়ার করেছেন ইব্রাহিম। সিপিএম প্রার্থীর কথায়, ‘‘গত সাত বছর ধরে হলদিয়ায় একের পর এক কারখানা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। চালু থাকা কারখানা ও বন্দরের শ্রমিকদের বঞ্চিত করছে শাসক দল। হলদিয়াকে স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সিপিএম প্রার্থী যখন শিল্প শহরে বাড়ি প্রচারে ব্যস্ত তখন পিছিয়ে নেই শাসক দলও। এ দিন সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারীর সমর্থনে একটি বড় সভা হয় শিল্প শহরের কয়েক কিলোমিটার দূরে মহিষাদলের লক্ষ্যাতে। সেখানে দিব্যেন্দু অধিকারী ছাড়াও ছিলেন নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে, মহিষাদল ব্লক সভাপতি তিলক চক্রবর্তী প্রমুখ। দিব্যেন্দু বলেন, ‘‘হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং ব্লক প্রশাসনের সহায়তায় হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের কী উন্নয়ন হয়েছে, তা সাধারন মানুষ ভালই উপলব্ধি করেছেন। আগামী দিনেও তাঁদের আশীর্বাদ চাই।’’
কংগ্রেস এখনও তমলুক এই কেন্দ্রে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। তবে ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্করকে এখনও শিল্পাঞ্চল এলাকায় প্রচার শুরু করতে দেখা যায়নি। তাই শুধু তৃণমূল ও সিপিএমের প্রচার ঘিরে রবিবাসরীয় শিল্পাঞ্চল
ছিল জমজমাট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy