পুরনো দিনের মতো ছড়া নেই। কিন্তু লোকসভা ভোটের প্রচারে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অল্পসল্প হলেও দেখা মিলছে কটাক্ষ-ছড়ার। যার তালিকায় প্রথমেই রয়েছে নন্দীগ্রাম। গত পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-মৃত্যুই হোক বা প্রচার— ভোট এলেই পূর্ব মেদিনীপুরের এই এলাকা যেন অন্য মাত্রা পায়।
পূর্ব মেদিনীপুরে তমলুক এবং কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল, বামেরা। বিজেপি একটি আসনে তাঁদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। কিন্তু কংগ্রেস এখনও কোনও কেন্দ্রেই তাদের প্রার্থী দেয়নি। তাই প্রচারের দেওয়াল লিখনের লড়াইটা রয়েছে শাসক-বাম-বিজেপি’র মধ্যে। সম্প্রতি নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গিয়েছে বিজেপি’কে কটাক্ষ করে শাসকদল তৃণমূলের ছড়া— ‘দিলীপ কাঁদিয়া কহে, অমিত আমার ভাইরে/ মোদীকে বলিয়া দিও বিজেপি আর নাই রে’। আবার বামেদের কটাক্ষ— ‘মিলে মিশে লুটে খায়, বুঝে গেছে জনতা/ ওপাড়ার মোদী আর এপাড়ার মমতা’। এ প্রসঙ্গে সিপিএমের নন্দীগ্রাম জোনাল কমিটির নেতা মহাদেব বাগ বলেন, ‘‘ছড়া-কবিতা বাংলার সংস্কৃতি। তাই সাধারণ মানুষ যাতে বাস্তব পরিস্থিতি কবিতার ছলে বুঝে ভোট দেন, তার জন্য এমন উদ্যোগ।’’
আবার, জঙ্গি হানায় পুলওয়ামার সিআরফিএফ জওয়ানদের নিহত হওয়ার প্রসঙ্গও এসেছে বিজেপি’র প্রচার-লিখনে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি বুথে বিজেপির দেওয়াল লিখনে রয়েছে, ‘পুলওয়ামার ব্যথা চেপে, ধ্বংস করল জৈশ ঘাঁটি/ তিনটে বেজে পঁয়তাল্লিশে, পদ্ম ফুলের ভারত মাটি’। এ ব্যাপারে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। প্রচারে ওই ঘটনা আদৌ ‘হাতিয়ার’ করা যায়, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। উল্লেখ্যে, তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রামের এক সভায় ওই নিহত জওয়ানদের ছবি দেওয়া ফ্লেক্স ঘিরেও কয়েকদিন আগে বিতর্ক হয়েছিল। পরে সেই ফ্লেক্সটি ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।
বিজেপি’র পুলওয়ামা সন্ত্রাস নিয়ে ভোট প্রচার প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাথ পাল বলেন, ‘‘ওই এলাকায় দেওয়াল লিখনে সেনাবাহিনীর সাফল্যকে নিয়ে বিজেপি প্রচার চালাচ্ছে। বিধি ভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে কমিশনে যাব আমরা।’’
ওই দেওয়াল লিখনে আদৌ বিধি ভঙ্গ হয়েছে কি না, তা ছড়া দেখে বিবেচনা করা হবে বলে পাল্টা জানিয়েছেন বিজেপি জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস। যদিও এ ব্যাপারে বিজেপি’র মণ্ডল সভাপতি সমীর অগস্থি বলেন, ‘‘সেনাবাহিনী যেভাবে জঙ্গি দমন করে ভারতীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছেন, তাই স্থানীয়েরা তাঁদের কৃতিত্ব নিয়ে ছড়া দেখতে চেয়েছিল। তাই ওটা লেখা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy