গড়বেতায় দলীয় প্রার্থী বিরবাহার সঙ্গে অজিত। নিজস্ব চিত্র
ভরা সভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাত মুচড়ে দিতে বলে নির্বাচন কমিশনের ‘কোপে’ পড়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি। কমিশন তাঁকে শো-কজ করে। সেই শো-কজের উত্তর দিয়েছেন অজিত। তাঁর উত্তর, ‘‘এক বিজেপি নেতার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই আমি ওই কথা বলেছি। বাহিনী যদি অন্যায় ভাবে দলের কর্মীদের উপর অত্যাচার না করে, তাহলে আমরা বাহিনীকে সমস্ত রকম ভাবে সাহায্য করব।’’
রবিবার অজিত বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী শান্তি বাহিনী, এটা আমরা জানি। বাহিনী শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজই করে।’’ এ দিন গড়বেতায় দলীয় সভায় তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন থেকে শোকজ করা হয়েছিল। তিনি তাঁর উত্তর দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানান, তৃণমূল নির্বাচন কমিশনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবে এটাই প্রত্যাশা।
দিন কয়েক আগে ঘাটালে এক কর্মিসভায় এসেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দেব। সেখানে ছিলেন মেদিনীপুরের তৃণমূলপ্রার্থী মানস ভুঁইয়াও। ওই সভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। অজিতের সাফাই, দিন কয়েক আগে মেদিনীপুরে এক কর্মিসভায় এসে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, গুন্ডা- বদমাইশদের যখন রাস্তায় ফেলে পেটানো হবে, তখন তাদের গায়ে নুন ছিটিয়ে দেবে বিজেপি কর্মীরা। নুন ছিটানোর কাজে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে। অজিতের প্রশ্ন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কেন বিজেপি অপব্যবহার করবে? সায়ন্তন অরাজনৈতিক কথাবার্তা বলেছেন। আমি সভা থেকে তার জবাব দিয়েছি।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশের খোঁচা, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অসম্মান করেছে তৃণমূল। এটাই তো ওদের স্বভাব!’’ বিজেপি নেতা সায়ন্তনের দাবি, ‘‘আমি তো কোনও বেআইনি কথা বলিনি। সেই জন্য কমিশন আমাদের শো-কজও করেনি।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, অজিতের বক্তব্যের ভিডিয়ো তলব করেছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনে তা জমাও দেওয়া হয়। এ বার কমিশন তৃণমূলের জেলা সভাপতির শোকজের উত্তর খতিয়ে দেখবে। উত্তর আশানুরূপ না- হলে অজিতের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy