হ্যামিল্টন স্কুলে জেলাশাসক রশ্মি কমল। ছবি:পার্থপ্রতিম দাস
হাইস্কুলে মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়েছে সকাল ১১ টায়। প্রায় একই সময়ে স্কুলচত্বরে থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হল মাইক বাজিয়ে। যেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেন খোদ জেলাশাসক, প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি ও পুরসভার কাউন্সিলর।
বৃহস্পতিবার তমলুক শহরের হ্যামিল্টন হাইস্কুলে এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। স্কুল ও অভিভাবক সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে হাইস্কুলে শুরু হয়েছে মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে থেকে এ দিন একই চত্বরে হাইস্কুলের ভবনের ঠিক পিছনে হ্যামিল্টন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের জন্য মাইক বাজানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
পরীক্ষা চলাকালীন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মাইকের শব্দে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার অভিযোগ উঠায় মাইকের শব্দ কিছুটা কমিয়েই অনুষ্ঠান চলে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল, অতিরিক্ত জেলাশাসক (ট্রেজারি) শেখর সেন, তমলুকের এসডিও কৌশিকব্রত দে, প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মানস দাস, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক চাপেশ্বর সর্দার, জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের আধিকারিক বিশ্বজিৎ সরকার, তমলুক পুরসভার কাউন্সিলর চঞ্চল খাঁড়া। ছিলেন হ্যামিল্টন হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোবিন্দপ্রসাদ শাসমলও।
পরীক্ষার মধ্যেই স্কুলে মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে জেলাশাসক রশ্মি কমল অবশ্য বলেন, ‘‘হাইস্কুলের থেকে কিছুটা আলাদাভাবেই আমরা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছিলাম। অনুষ্ঠানে মাইক জোরে বাজানো হয়নি। মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শুরুর সময়ও পরে ছিল। তাই পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হয়নি।’’ গোবিন্দপ্রসাদবাবু বলেন, ‘‘পরীক্ষা চলাকালীন জোরে মাইক বাজানো কাম্য নয়। তবে এখানে মাইক আস্তে বাজছিল। তাই পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হয়নি।’’ প্রশাসনের একটি সূত্রে দাবি, স্কুলে পরীক্ষা শুরুর আগেই অনুষ্ঠান শেষ হয়। খুবই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান ছিল। জোরে মাইক বা বক্স বাজানোর প্রশ্নই নেই।
স্কুল এবং জেলা প্রশাসনের তরফে এই দাবি করা হলেও অভিভাবকদের একাংশ জানান, এ দিন বেলা প্রায় ১২টা পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠান চলে। অথচ পরীক্ষা শুরু হয় সকাল ১১টা নাগাদ। শুধু তাই নয়, টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন অনুষ্ঠানে মাইক চলার জেরে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার জন্য নির্ধারিত তিন ঘণ্টার সময়ের পরে অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় পরীক্ষা চলে এ দিন। ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের যুক্তি, ‘‘আমাদের পরীক্ষার বিষয়টি আগেই জানিয়েছিলাম। তবে সময়ের কিছুটা হেরফর হওয়ায় এ দিন পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সময় দিয়েছিলাম।’’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, ‘‘গত কাল শিশুদিবস ছিল। ওই দিন পরীক্ষা না থাকায় অনুষ্ঠান করা যেতে পারত। তা না করে পরীক্ষার দিন অনুষ্ঠান করে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসন কী প্রমাণ করতে চাইলেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy