Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

বিদ্যালয়ে নির্মল সপ্তাহে জোর জল সংরক্ষণে

সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচির নির্দেশিকা স্কুলে স্কুলে পৌঁছে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বার নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহ উদ্‌যাপনে জল সংরক্ষণকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ০০:৩২
Share: Save:

আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহ।

সপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচির নির্দেশিকা স্কুলে স্কুলে পৌঁছে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বার নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহ উদ্‌যাপনে জল সংরক্ষণকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জলের অপচয় ঠেকাতে স্কুলে স্কুলে পড়ুয়াদের সচেতন করা হবে। কোথাও অপচয় হচ্ছে দেখলে পদক্ষেপ করারও পরামর্শ দেওয়া হবে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল মানছেন, ‘‘নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহ উদযাপনকে সামনে রেখে স্কুলগুলিতে নানা কর্মসূচি হবে।’’ এ বার কি জল সংরক্ষণকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? জেলাশাসক বলেন, ‘‘জল সংরক্ষণ নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচিও হবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে জল সংরক্ষণ অত্যন্ত প্রয়োজন। সে জন্য নতুন প্রজন্মের সচেতনতা জরুরি।’’

২৬-৩১ অগস্ট নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহ উদ্‌যাপন হবে স্কুলগুলিতে। কোন দিন কী করতে হবে, তা স্কুলগুলিকে তা জানানো হয়েছে। ২৬ অগস্ট যেমন মুক্ত শৌচকর্মে নজরদারি চালানো হবে। পাশাপাশি, জল সংরক্ষণে নতুন চিন্তার উদ্ভাবন বিষয়ক কর্মসূচি করতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় সময়ে ট্যাপকল বন্ধ করা, জল বাঁচানোর প্রচার কর্মসূচি করতে হবে। ২৭ অগস্ট বর্জ্য পদার্থের বিভাজন ও প্রক্রিয়াকরণে উদ্ভাবনী কর্মসূচি করতে হবে।

দলগতভাবে নখ কাটা ও পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান কর্মসূচি করতে হবে। ২৮ অগস্ট প্লাস্টিক দূষণ রোধে কর্মসূচি করতে হবে। প্লাস্টিক বর্জনের ডাকে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আলোচনাসভা, ক্যুইজ, পদযাত্রা হবে। ২৯ অগস্ট বয়ঃসন্ধির সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। মশাবাহিত রোগের সচেতনতা কর্মসূচি করতে হবে। ৩০ অগস্ট পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করবে স্কুলগুলি। ৩১ অগস্ট অঙ্কন প্রতিযোগিতা হবে স্কুলগুলিতে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, অঙ্কন প্রতিযোগিতা হবে দু’টি করে শ্রেণিভিত্তিক। প্রতিযোগিতার বিষয় নির্দিষ্ট করা হয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির অঙ্কনের বিষয় যেমন, ‘জল ধরি, জল ভরি, জলের সঠিক ব্যবহার করি।’ পাশাপাশি, মিড ডে মিল খাওয়ার আগে-পরে পাঁচটি ধাপে হাত ধোওয়ার পদ্ধতি প্রয়োগ করা, শৌচকর্মের পরে পাঁচটি ধাপে হাত ধোওয়ার পদ্ধতি প্রয়োগ করা, নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবহার করা, স্কুলচত্বরে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা প্রভৃতি নিয়েও সচেতনতা কর্মসূচি করতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘জলের অপচয় এড়াতে প্রথমে দরকার জনসচেতনতা। স্কুলস্তর থেকে এই সচেতনতা গড়ে উঠলে সবদিক থেকেই ভাল।’’

পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়েই জল অপচয়ের ছবি দেখা যায়। শুধু রাস্তায় নয়, বাড়িতেও নানা ভাবে জলের অপচয় চলে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ কমছে। প্রশাসন মনে করছে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃষ্টির জল সংরক্ষণে পদক্ষেপ করতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে উদ্যোগটা দরকার। বস্তুত, জল সংরক্ষণ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ১২ জুলাই দিনটি ‘সেভ ওয়াটার ডে’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে জনমত গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি হচ্ছে। এ বার স্কুলগুলিতে জলের সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা হবে। জলের সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে পড়ুয়াদের সচেতন করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE