Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

এড্‌সে চিকিৎসা কেন্দ্রই নেই

২০১৭ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গঠিত হয় ঝাড়গ্রাম জেলা। তবে ঝাড়গ্রাম স্বাস্থ্য জেলা তৈরি হয় তারও আগে ২০১২ সালে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরে জেলায় এইচআইভি সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা ১২০ জন।

ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের আইসিটি সেন্টারে এইচআইভি নির্ণয় ও কাউন্সেলিং হয়। নিজস্ব চিত্র

ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের আইসিটি সেন্টারে এইচআইভি নির্ণয় ও কাউন্সেলিং হয়। নিজস্ব চিত্র

কিংশুক গুপ্ত
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:২৪
Share: Save:

এড্‌সের সচেতনতা বাড়াতে জেলায় দফায় দফায় শুরু হয়েছে শিবির। নাটক, গান ও ম্যাজিকের মাধ্যমে চলছে সেই সক্রান্ত নানা কর্মসূচি। কিন্তু ঝাড়গ্রাম জেলায় এখনও এড্‌সের চিকিৎসার জন্য এআরটি (অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল থেরাপি) সেন্টারই চালু হয়নি। এর ফলে এইচআইভি আক্রান্তদের ঝাড়গ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার উজিয়ে চিকিৎসার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে যেতে হচ্ছে।

প্রশাসন সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে রয়েছে ‘আইসিটিসি’ (ইন্ট্রিগ্রেটেড কাউন্সেলিং অ্যান্ড টেস্টিং সেন্টার)। ওই কেন্দ্রে এইচআইভি-র রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এ ছাড়া সংক্রামিতদের কাউন্সেলিং করানো হয়। তারপরে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের এআরটি সেন্টারে। মেদিনীপুরে রোগীর কয়েক মাস চিকিৎসার পরে ঝাড়গ্রামে ‘লিঙ্ক এআরটি সেন্টার’ থেকে নিয়মিত ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু সংক্রমণ ধরা পড়ার পরে ছ’মাস থেকে প্রায় এক বছর রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসার জন্য মেদিনীপুরে যেতে হয়। ফলে ঝাড়গ্রাম জেলার দূরদূরান্তের (বেলপাহাড়ি, সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম ও গোপীবল্লভপুর) বিশেষত দরিদ্র রোগীরা সমস্যায় পড়েন।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অবশ্য দাবি, এখনও জেলায় এইচআইভি আক্রান্তের সরকারি ভাবে মৃত্যুর খবর নেই। স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, কোনও ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষায় এইচআইভি পজিটিভ হলে তাঁকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের আইসিটিসি’তে প্রথমে কাউন্সেলিং করানো হয়। এ ছাড়া, প্রতি বছরে আইসিটিসি’তে গড়ে আট হাজার মানুষের এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়। নয়াগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি, বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে আইসিটিসি রয়েছে। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়লে, তা নিশ্চিত করার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। আরও পরে সংক্রমিতকে চিকিৎসার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ‘এআরটি’ সেন্টারে পাঠানো হয়। এইচআইভি সংক্রমিত রোগীকে বার্ষিক ৬০০ টাকা সরকারি সাহায্য দেওয়া হয় বলে জানাচ্ছে দফতর।

এত প্রচার, সচেতনতা শিবির হচ্ছে। কিন্তু এআরটি কেন্দ্র জেলায় হচ্ছে না কেন? ঝাড়গ্রাম জেলার সিএমওএইচ প্রকাশ মৃধার জবাব, ‘‘ঝাড়গ্রামে এআরটি সেন্টার চালু করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হবে।’’ পাশাপাশি, তাঁর দাবি, ঝাড়গ্রামে মেডিক্যাল কলেজ হলে সেখানে এআরটি থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

HIV HIV Clinic
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE