ব্লক ভূমি সংস্কার দফতরে কাজে ব্যস্ত কর্মীরা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
চাষের কাজে আর্থিক সাহায্য দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন কিছুদিন আগেই। রাজ্য সরকারের নতুন এই প্রকল্পে এক একর বা তার বেশি চাষজমির মালিককে রবি ও খারিফ মরসুমে চাষের জন্য দু’দফায় মোট ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এক একরের কম জমির জন্য আনুপাতিক হারে অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে চাষিদের কাছ থেকে আবেদন জমা নিয়ে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রকল্পে আবেদনপত্রের সঙ্গে চাষিদের সচিত্র পরিচয়পত্র, জমির পরিমাণ সংক্রান্ত পড়চা (রেকর্ড) এবং ব্যাঙ্কের পাশ বইয়ের প্রতিলিপি জমা দিতে হচ্ছে। কিন্তু কৃষকদের একাংশ ভূমি সংস্কার দফতরে আবেদন জমার পরেও অনেক দিন ধরে জমির ‘রেকর্ড’ না পাওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া নিয়ে বহু কৃষক অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। সমস্যার সমাধানে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর থেকে প্রকল্পে আবেদনকারীদের দ্রুত জমির রেকর্ড দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। আর তাই সরকারি হিসাবে ছুটির দিন থাকলেও শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ও আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি, শনিবার ব্লক ভূমি সংস্কার দফতর খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক জেলার সব ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক ও ব্লক প্রশাসনকে এই নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে শনিবার জেলার সমস্ত ব্লক ভূমি সংস্কার দফতরের অফিস খুলে রেখে কাজ চলেছে। যদিও প্রকল্পে আবেদনের সুবিধার্থে শনিবার অফিস খোলা থাকার বিষয়টি অনেক চাষিই জানতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিন নন্দকুমার ব্লকের ভূমি সংস্কার দফতর অফিসে গিয়ে দেখা গিয়েছে অফিসে আধিকারিক ও অন্য কর্মীরা কাজে ব্যস্ত। ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক জানান, কৃষক বন্ধু প্রকল্পে চাষিদের আবেদনের সুবিধায় জমির ‘রেকর্ড’ তৈরি করে দিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ দিন অফিস খোলা রাখা হয়েছে। আগামী শনিবারও এই কাজের জন্য অফিস খোলা থাকবে।
অফিস খোলা থাকার বিষয়টি চাষিদের না জানার অভিযোগ নিয়ে ব্লক ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলিকে দিন কয়েক আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হয়তো পঞ্চায়েতগুলির তরফে ঠিকমত প্রচার করা হয়নি।
কৃষি দফতর সূত্রের খবর, ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পে জেলায় এখনও পর্যন্ত ৯০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। জেলা কৃষি দফতরের সহ-অধিকর্তা মৃণালকান্তি বেরা বলেন, ‘‘কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদনের জন্য জমির রেকর্ডের প্রতিলিপি জমা বাধ্যতামূলক। অনেকে জমির ‘রেকর্ড’ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। ছুটির দিনেও ব্লক ভূমি সংস্কার অফিস খোলা রাখায় চাষিদের জমির ‘রেকর্ড’ পেতে সুবিধা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy