Advertisement
১১ মে ২০২৪
Civic volunteer

দুর্নীতির আলোচনা! বৃদ্ধকে ‘মার’ সিভিক ভলান্টিয়ারের

স্থানীয় সূত্রে খবর, রঙ্গলাল গুড়িয়া নামে ওই এলাকার ৭৩ বছরের এক  বাসিন্দা বুধবার আমপানে ক্ষতিপূরণের তালিকা নিয়ে নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব  সংবাদদাতা
নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২০ ০০:০২
Share: Save:

আমপানের ক্ষতিপূরণ এবং সেই সংক্রান্ত দুর্নীতির নিয়ে আলোচনা করার ‘অপরাধে’ এক বৃদ্ধের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রাম থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাণ্ডপশরা এলাকার ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত। যদিও নন্দীগ্রাম থানার পুলিশের দাবি, তাদের কাছে এ বিষয়ে কোনও খবর নেই।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রঙ্গলাল গুড়িয়া নামে ওই এলাকার ৭৩ বছরের এক বাসিন্দা বুধবার আমপানে ক্ষতিপূরণের তালিকা নিয়ে নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। অভিযোগ, সেই আলোচনা শুনতে পেয়ে প্রতিবেশী তথা সিভিক ভলেন্টিয়ার গোপাল গুড়িয়া, তাঁর বাবা প্রলয় গুড়িয়া এবং রিনা গুড়িয়া নামে তিনজন ওই বৃদ্ধের উপরে চড়াও হন। মেরে তাঁরা মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান এলাকাবাসী। তাঁর মাথায় সেলাই পড়েছে বলে দাবি।

ঘটনায় রঙ্গলাল নন্দীগ্রাম থানায় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ঝড়ে তাঁর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু তালিকায় তাঁর নাম নেই। এ দিন ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত আলোচনা করেই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি রঙ্গলালের। ওই কাণ্ড ঘটিয়েও অভিযুক্ত নিশ্চিতেই বাড়িতে রয়েছেন বলে দাবি তাঁরা। যদিও নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে। ব্যাপারে হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের গোকুলনগর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা গুরুপদ আচার্যকে তৃণমূলের লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ। তিনি বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত। তাঁর অভিযোগ, নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মধক্ষ্য স্বদেশ দাসের ভাইপো অর্ধেন্দু দাসের দল তাঁকে মেরেছে। গুরুপদ বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রেশন তুলতে যাওয়ার পথে অর্ধেন্দুর লোকেরা শীতলা মন্দিরে তুলে নিয়ে গিয়ে মরেছে। বিজেপি করি বলেই মেরেছে।’’ তবে অভিযুক্ত অর্ধেন্দুর বক্তব্য, ‘‘গুরুপদ আচার্য তৃণমূলের কর্মী। নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে কিছু সমস্যা চলছিল বলে তিনি জিজ্ঞেস করতে এসেছিলেন। মারধরের অভিযোগ বিজেপির অপপ্রচার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Civic volunteer crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE