ঝাড়গ্রামের মানুষের মন পেতে কোনও চেষ্টারই কসুর রাখছে না রাজ্য সরকার ও শাসকদল। গত এক মাসে বার কয়েক ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক ও দলীয় কর্মসূচিতে এসেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজ, বুধবার ফের জেলায় আসছেন পার্থ। তিনটি প্রশাসনিক কর্মসূচি ও দলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে লালগড়ের রামগড়ে ঝাড়গ্রাম জেলা শিক্ষণ প্রশিক্ষণ সংস্থার (ডিস্ট্রিক্ট ইনস্টিটিউট এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং, সংক্ষেপে ‘ডিআইইটি’) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর ঝাড়গ্রাম শহরে সিদো-কানহো, বীরসা মুণ্ডা ও স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির আবরণ উন্মোচন করবেন তিনি। জেলাশাসকের সভাঘরে পুর এলাকার ‘হাউসিং ফর অল’ প্রকল্পের একশো উপভোক্তার হাতে অনুমোদনপত্র তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী। ১২০টি সহায়ক গোষ্ঠীর হাতে ১ লক্ষ টাকা করে অনুদান তুলে দেবেন পার্থ। বিকেলে ঝাড়গ্রামে দলীয় বৈঠক করার কথা তাঁর।
গত জুনে ঝাড়গ্রামে হুল দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানে এসে পুরসভাকে অরণ্যশহরে সিদো-কানহোর মূর্তি বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন পার্থ। তৃণমূলের ক্ষমতাসীন পুরবোর্ড কার্যকালের মধ্যে মূর্তি বসাতে পারেনি। মহকুমাশাসক পুরপ্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়ার পরে গত তিনদিনের মধ্যে সিদো-কানহোর পাশাপাশি, বীরসা মুণ্ডা ও স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি বসিয়ে ফেলা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের ফলে ঝাড়গ্রামে ধাক্কা খাওয়ার পরে কখনও প্রশাসনিক কাজে আবার কখনও দলীয় কাজে ঝাড়গ্রামে আসছেন পার্থ। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে মনের কথা বলার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তার আগের দিনই ঝাড়গ্রাম ঘুরে যাচ্ছেন পার্থ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy