Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

যুবকের কাটা মুণ্ডু খুঁজতে পুলিশ কুকুর

পুলিশ জানিয়েছে, বহস্পতিবার ওই যুবকের মুণ্ডুর খোঁজে দিনভর তল্লাশি চালানো হয়। হলদি নদীর তীরে বিস্তীর্ণ এলাকায় পুলিশ কুকুর এনে তল্লাশি চলে।

তদন্তে নেমেছে পুলিশ-কুকুর। নিজস্ব চিত্র

তদন্তে নেমেছে পুলিশ-কুকুর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ০১:৪১
Share: Save:

নন্দীগ্রামের তেরপেখ্যায় হলদি নদীর তীরে ইটভাটার পলি খাদানের পাশ থেকে বুধবার সন্ধ্যায় মুণ্ডুহীন দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পলিথিন প্যাকেটে মোড়া অবস্থায় দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের গোপালচকের বাসিন্দা অভিজিৎ মাইতি (৩০) নামে ওই যুবক ভেড়িতে কাজ করতেন। অভিজিৎকে খুন করা হয়েছে বলে নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁর শ্যালক শুভাশিস গিরি। অভিযোগ পেয়ে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, বহস্পতিবার ওই যুবকের মুণ্ডুর খোঁজে দিনভর তল্লাশি চালানো হয়। হলদি নদীর তীরে বিস্তীর্ণ এলাকায় পুলিশ কুকুর এনে তল্লাশি চলে। তবে মঙ্গলবার থেকে ওই এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছিল। ফলে জলের স্রোতে যুবকের মুণ্ডু অন্যত্র ভেসে যেতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। খুনের তদন্তে নেমে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ। নিহতের বাবা হরিপ্রসাদ মাইতির দাবি, আশরফ মল্লিক নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি ছেলের সঙ্গে নিয়মিত মেলামেশা করত। মঙ্গলবার রাতে আশরফ ছেলেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর আর ছেলে ভেড়িতে কিংবা বাড়িতে ফেরেনি। অভিজিতের স্ত্রী সবিতা বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি ফিরে জমিতে রোপণের কথা ছিল স্বামীর। কিন্তু মঙ্গলবার রাত থেকে বহু বার ফোন করেও ওকে পাওয়া যায়নি। এমনকি আশরফে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে, তার মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।’’ সবিতার দাবি, বুধবার সকাল থেকে এলাকায় দেখা যায়নি আশরফকেও। খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে আশরফকেই দায়ী করেছে অভিজিতের পরিবার।

যদিও আশরফের মায়ের দাবি, ‘‘ছেলে কাজের জন্য বুধবার ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। তাঁর ফোন নম্বরও অজানা।’’ নিহতের প্রতিবেশীদের দাবি, অভিজিৎ শান্ত স্বভাবের ছেলে। তাদের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ভাল ছিল। এই অবস্থায় কে বা কারা তাঁকে কেন খুন করল তা নিয়ে সংশয়ে তদন্তকারীরা। প্রয়োজনে রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিজিতের দেহের ময়না তদন্ত হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হলদিয়া) পারিজাত বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই যুবকের মুণ্ডু এখনও মেলেনি। তবে তাঁর শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পরিবার এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে খুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nandigram Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE