আদালতের পথে ধৃতেরা। নিজস্ব চিত্র
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজই হাতিয়ার। তা দেখেই ডাকাতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাচক্রে, এদের মধ্যে একজন ভগবানপুর ভেড়ি-কাণ্ডে নিহত তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধানের বাড়িতে এক মাস আগে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল এবং পুলিশের জালে ধরাও পড়েছিল।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে ভগবানপুর বেঁউদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের নীচ থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মিত্র শাখায় ডাকাতির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, দুপুর দেড়টা নাগাদ তিন দুষ্কৃতী মোটর সাইকেলে করে এসে সেখানের কমিশন এজেন্টকে মারধর করে এবং কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ভগবানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সন্ধ্যাতেই ভগবানপুর থানায় আসে এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সব্যসাচী সেনগুপ্ত এবং সার্কেল অফিসার তাপস পাল। থানায় বসে তাঁরা ওই মিত্র শাখা অফিসে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। পুলিশ সূত্রের খবর, তিনজন দুষ্কৃতীর মধ্যে একজনকে চিনতে পারেন তদন্তকারীরা। ওই ব্যক্তি নান্টু প্রধানের বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হয়েছিল।
ওই সূত্র ধরে সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভগবানপুর থানার পুলিশ। রাতে নন্দীগ্রাম থেকে সঞ্জয় সেন এবং শেখ হাবিবুল নামে দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে ভগবানপুর থানায় নিয়ে আসে। সঞ্জয়ের বাড়ি ধানখোলা গ্রামে। হাবিবুল আমগেছিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে নগদ কয়েক হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে তৃতীয় দুষ্কৃতীর নাম জানা গিয়েছে। ওই ব্যক্তির বাড়ি ভগবানপুর থানার লালপুর গ্রামে বলে খবর। পুলিশ রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালানোর আগেই সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে দাবি। পুলিশ তার বাড়ি থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার ধৃত দুই ব্যক্তিকে কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
এ বিষয়ে কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে রাতেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কিছু টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকি অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সোমবার ধৃতদের টিআই প্যারেডে পাঠানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy