Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
দাসপুর

পড়ুয়া সচেতনতায় শিবির পুলিশের

নারী নির্যাতন থেকে সাইবার ক্রাইম— পড়ুয়াদের সচেতন করতে স্কুলে শিবির করল দাসপুর থানার পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের আইনি পাঠ দেওয়া শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তার কথায়, “ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

শিবিরে হাজির পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।

শিবিরে হাজির পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৫৫
Share: Save:

নারী নির্যাতন থেকে সাইবার ক্রাইম— পড়ুয়াদের সচেতন করতে স্কুলে শিবির করল দাসপুর থানার পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের আইনি পাঠ দেওয়া শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তার কথায়, “ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এই বিষয়গুলি নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে সম্যক ধারণা তৈরি করতে পারলে তাঁরা পাড়ায় বা বাড়িতে গিয়ে অন্যদেরও বোঝাতে পারবে। সাধারণ মানুষ সচেতন হলে তবেই এমন অপরাধ ঠেকানো সম্ভব হবে।” পুলিশ সূত্রে খবর, বাল্য বিবাহ বা ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা দেখলেই থানায় খবর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে পড়ুয়াদের। সাইবার ক্রাইম রোধে এটিএম কার্ড কারও হাতে না দেওয়া, কোনও জায়গায় পাসওয়ার্ড লিখে না রাখা, এটিএম কার্ড হারিয়ে গেলে দ্রুত থানায় জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। ব্যাঙ্ক কর্তার পরিচয় দিয়ে কেউ ফোন করে এটিএম কার্ডের নম্বর বা পাসওয়ার্ড জানতে চাইলে তা দিতে নিষেধ করা হয়। অন-লাইন লটারি থেকে বিরত থাকা, ইন্টারনেটে কোনও বিজ্ঞাপন দেখে সঠিক ভাবে যাচাই না করে ব্যাক্তিগত তথ্য না দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়।

বর্তমান প্রজন্ম ফেসবুক, হোয়াটস্‌ অ্যাপ নিয়েও সাবলীল। ফেসবুকে পরিচিত কেউ ছাড়া অন্যের ছবি বা প্রোফাইলে কোনও মন্তব্য না করা, ফেসবুক অথরিটিকে অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি সম্বন্ধেও জানানো হয় পড়ুয়াদের।

দাসপুর থানার পুলিশ সূত্রে খবর, সাগরপুর, খেপুত হাইস্কুলে শিবির করা হয়েছে। এ বার এলাকার সমস্ত পড়ুয়াদের সচেতন করতে লিফলেট বিলি করা হবে। খেপুত হাইস্কুলের শিক্ষক চন্দন ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। দাসপুর থানা থেকে স্কুলে একটি শিবির হয়েছে। আমরাও পরিচালন কমিটির নির্দেশ মেনে এবা র পড়ুয়াদের সচেতন করব।”

শিবিরের পরে খুশি পড়ুয়ারা। খেপুত হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অনুপম মান্না, একাদশ শ্রেণির পৃথা জানা, সুরঞ্জনা ঘোষেরা বলেন, “বিশেষ ক্লাসে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। বিষয়গুলি নিয়ে পাড়ার বন্ধু ও বাড়ির লোকেদেরও বোঝাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

awarness campaign readers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE