হাতে-হাত: ভবানীচকে অনুষ্ঠানে শিশির ও সমরেশ । সোমবার।
বরফ গলল! শোকজ বিতর্কের পরে অবশেষে এক অনুষ্ঠানে দেখা মিলল তৃণমূলের জেলা সভা শিশির অধিকারী এবং এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাসকে। সোমবার ভবানীচকে পাকা রাস্তার উদ্বোধনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করলেন দু’জনে। খোঁজ নিলেন একে অন্যের শারীরিক অবস্থার। দলীয় কর্মীদেরই একাংশ জানাচ্ছেন, ঘণ্টাখানেকের ওই অনুষ্ঠানে দু’জনকে দেখলে বোঝা যাবে না যে, কয়েকদিন আগেই জেলা সভাপতির তরফে শোকজের চিঠি পেয়েছিলেন সমরেশ।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টা নাগাদ ভবানীচক বাসস্ট্যান্ড থেকে নস্করপুর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার পাকা রাস্তা উদ্বোধন অনুষ্ঠান ছিল। ভবানীচক থেকে বাসুদেবপুর হয়ে নস্করপুর পর্যন্ত পাকা রাস্তাটি এগরার বিধায়ক সমরেশ দাসের বসত ভিটার মধ্যেই পড়ে। আবার ভবানীচকে শিশির অধিকারীর পৈতৃক ভিটে। এ দিন সেই রাস্তার উদ্বোধনে হাজির ছিলেই দুই নেতাই।
চলতি মাসে একটি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে এক মঞ্চে বসে দলীয় নেতৃত্বের বিরাগভজন হয়েছিলেন সমরেশ। তাঁকে শো-কজ করা হয়েছিল। এর পরে এগরা মহকুমার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিশির এবং সমরেশ নিমন্ত্রিত থাকলেও একসঙ্গে তাঁদের দেখা যায়নি।
এ দিন একসঙ্গে অনুষ্ঠানে হাজির থাকা নিয়ে সমরেশ বলেন, ‘‘শো-কজের জবাব দিয়েছিলাম। তবে সাংবাদমাধ্যম রং চড়িয়ে বিষয়টি দেখিয়ে আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরির চেষ্টা করেছে। আগেও কোনও দ্বন্দ্বের জায়গা ছিল না, আজও নেই। শিশিরবাবু আমাদের চিরকাঙ্খিত স্বপ্নপূরণ করেছেন। আমরা এগরাবাসী কৃতজ্ঞ।’’ শিশিরের বক্তব্য, ‘‘দলের নির্দেশেই বিধায়ককে শো-কজ করা হয়েছিল। ওঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তাই এক অনুষ্ঠানে থাকার ক্ষেত্রেও বাধা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy